মো:বেলাল হোসেন আকাশ স্টাফ রিপোটারঃ অনলাইন ডেস্ক: কথায় আছে জন্ম হউক যথা আর কর্ম হউক ভালো। রাত দিন যার কর্ম ছিলো মাদক সেবন ও বিক্রয়। পুলিশের তাড়ায় ঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকা, আবার কখনো জেলে। তবুও দমিয়ে রাখতে পারতো না কেউ। ঘটনাটি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বেড়াগ্রাম বাজারের মৃত তাছির মন্ডলের ছেলে বাবলু মন্ডল, মাদক জগতের কালো নাম বনো বাবু।
একাধিক মামলা ভার কাঁধে নিয়ে দির্ঘ দিন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েও কোন লাভ না হওয়ায় অবশেষে পুলিশ অফিসারের ভালবাসায় ও সার্বিক সহযোগিতায় স্বাভাবিক জীবনের ফিরতে মাদককারবারী ছেড়ে মুদি দোকানী হয়েছেন তিনি। বনো বাবু বলেন, আমি খারাপ বন্ধুদের সাথে সঙ্গ দিয়ে প্রথমে মাদক সেবন এবং ব্যবসার সাথে জড়িত হয়েছি। বিগত জীবনে ভুল করেছি। মাদক আমার পুরো পরিবার ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার স্কুল পড়–য়া ছেলে মেয়ের নিষেধ অন্যদিকে থানার হাফিজ স্যারের ভালবাসায় আমি আমার জীবনে আলোর সন্ধান পেয়েছি। কর্ম হিসেবে অনেক কিছু ভেবেও কোন কাজ কর্ম না পাওয়ায় হাফিজ স্যার আমাকে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেড়াগ্রাম বাজারে এই মুদির দোকান ও দোকানের মালামালের ব্যবস্থা করে দেন। প্রতিদিন এই দোকান থেকে আড়াইশত টাকা থেকে তিনশত টাকা লাভ হয়, যেটা দিয়ে আমি আমার স্কুল পড়–য়া ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচসহ সংসার চালাই। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর আমার এই ছোট মুদির দোকান নিয়ে আমি ব্যস্ত থাকতে চাই। তবে তিনি অন্য মাদক সেবক ও কারবারীদের আলোর পথে এসে শান্তিপূর্ন ভাবে জীবন যাপন করার জন্য অনুরোধ করেছেন। দুপচাঁচিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, আমি শুধুমাত্র আমার দায়িত্ব পালন করেছি, আমি মনে করি বাংলাদেশ পুলিশ মানুষের কল্যানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পুলিশ ডিপার্টমেন্টের আদর্শ বুকে ধারণ করে মানুষকে আলোর পথ দেখাবো এটাই আমার প্রত্যাশা। থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, হাফিজুর রহমান যে ভালো কাজটি করেছে তা অবশ্যই প্রংসসিত, তবে বনো বাবুর মতো যে কোন মাদক সেবনকারী ও মাদককারবারীকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে আমরা থানা পুলিশের পক্ষথেকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আইন অমান্যকারীদের ধরতে এবং আইনের আওতায় আনতে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply