মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,আমন ধানক্ষেতে কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের খেত থেকে ভেসে আসছে এখন পোকা মাকড়ের আক্রমণ । বিগত বছরের তুলনায় এ বছর আমন ধান ভালো হবে কিনা । কৃষকরা জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে আমন আবাদ করে ভাগ্য খুলবে তাদের। এ ছাড়া, মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন তারা। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁও জেলায় এ বছর ১ লাখ ৩ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে উফশী ও স্থানীয় জাতের আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ৮০ হেক্টর উফশী ও ৭৬ হাজার ৯৪৫ হেক্টর স্থানীয় জাতের আমন রয়েছে। চলতি মৌসুমে সদর উপজেলায় ৪৫ হাজার ৬৪৫ হেক্টর,ঠাকুরগাঁও জেলা সদর উপজেলায় ১৮ হাজার ২৮০ হেক্টর, । ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার হরিনারায়ন পুর গ্রামের ধান চাষি আলাউদ্দিন বলেন, এ বছর ৬ বিঘা জমিতে আমদের আবাদ করেছি, খেতে এখন পোকা মাকড়ের আক্রমণ দেখা গেছে ফলন অনেক ভালো হবেনা মনে করেন। ধান চাষি নুরল জানান, জমি চাষ থেকে শুরু করে চারা রোপন, আগাছা দমন, সার-ওষুধ প্রয়োগ ও খেতের নিয়মিত পরিচযা হয়েছে । ২ একর জমিতে আমনের আবাদ করেছেন ধান চাষি সিরাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একই কথা জানান, আবু তাহেরসহ স্থানীয় অন্যরা। তারা জানান, নিজের পুঁজি, এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আমনের আবাদ করেছেন আমনধান অনেক পোকা হয়েছে। তাই ধানের ফসলভালো হলে বিক্রির টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ ও আনুষঙ্গিক খরচ করেবেন তারা। শুধু জেলা সদর নয়, এ বছর উপজেলায় পোকার দমন হলে আমনের ফলন ভলো হবে। সেখানকার কৃষকের মধ্যেও হতাশা জানিয়েছেন চাষিরা। আগামীতে বিপুল উৎসাহ নিয়ে তারা আমন আবাদে ঝুঁকে পড়বেন বলে জানান তারা। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ আফতাব জানান এবারে বন্যা হয়েছে আমনধান ভালো হতে পারে ।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply