মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: টানা ৫ দিনের ভারী বর্ষণে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অফিস-আদালত ও হাসপাতাল সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। গত মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলায় যা এ বছরে সর্বোচ্চ বলে জানান,আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদেরকে মুঠোফোনে বলেন, ‘ ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২১৭ দশমিক সাত মিলিমিটার এবং শনিবার সকাল নয়টায় রেকর্ড করা হয়েছে ১১০ দশমিক ৭ মিলিমিটার।’ বৃহস্পতিবার বিকেলে ও শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টির কারণে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার জন্য অপরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী। নিচু এলাকাগুলোতে হাঁটু পানি জমেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য দ্রুত পানি বেরিয়ে যেতে না পারায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছ। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে আজকে আমাদের এই দুরবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলেই পথঘাট ডুবে যায়। ময়লা পানির উপর দিয়ে হাঁটতে হয়। কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও সুরাহা হয়নি।’ অতিরিক্ত ভারীবর্ষণের কারণে ঠাকুরগাঁও জেলার ৫টি উপজেলার গ্রামগঞ্জের কাঁচা বাড়িঘর ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে । গরীব অসহায় মানুষের রোজগারের সমস্যা হয়ে গেছে । তারা কোনো কাজ করমে বের হতে পারছেন না । অতি বৃষ্টি আর ড্রেনের মধ্যে ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে । ৫ দিনের টানা বর্ষণের কারণে রাস্তাঘাটে চলাচল করা সমস্যা হয়েছে। কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে এবং গবাদিপশুর খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে এই বৃষ্টির কারণে। হতদরিদ্র মানুষের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে । এ ছাড়া, মানুষ ড্রেনে নানা ধরণের ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণেও পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে । তবে আশা করা যায়, বৃষ্টি বন্ধ হলে একদিনেই সব পানি নেমে যাবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply