বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

ঠাকুরগাঁওয়ে ক্লিনিকে অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ।

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩৫৬ ভিউ টাইম
 মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও শহরে ফ্রেন্ডস এ্যাপোলো নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার অভিযোগ করেছে। মাহবুবা আক্তার (২২) নামে এই প্রসূতি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের শাসর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের স্ত্রী। সাদেকুল ইসলামের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পর তার স্ত্রীর দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথাযথ নজর দেয়নি। সাংবাদিকদেরকে তিনি বলেন, ১২ অক্টোবর  সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের ফ্রেন্ডস এ্যাপোল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসক আবিদা সুলতানা তার স্ত্রী মাহবুবার অস্ত্রোপচার করেন। মাহবুবার ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। এর কিছুক্ষণ পর মাহবুবার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। “ক্লিনিকে কর্মরত নার্সদের একাধিকবার বিষয়টি বললেও তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ক্লিনিকের নার্স ও কর্তৃপক্ষ সেবা না দিয়ে উল্টো তারা আমাকে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর একজন নার্স এসে আমাকে এক ব্যাগ রক্ত আনতে বলেন। তাৎক্ষণিক রক্ত যোগাড় করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হলে তারা সেই রক্ত আমার স্ত্রীকে দেন। তার পরও কোনোভাবে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না।“অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ১৩ অক্টোবর   মঙ্গলবার বিকেলে আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এ সময় কর্তৃপক্ষ রোগীকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। তাৎক্ষণিকভাবে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মাহবুবাকে দিনাজপুরে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।”সাদেকুল ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতা ও অবহেলার অভিযোগ তুলে এর বিচার দাবি করেছেন। এ ঘটনায় তিনি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। এ বিষয়ে চিকিৎসক আবিদা সুলতানা বলেন, “অপারেশন অনেক ভাল হয়েছে। অপারেশনের পর বাচ্চা ও মা সুস্থ ছিলেন। কিন্তু অপরাশেন পরবর্তী ক্লিনিকে অব্যবস্থাপনার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।”ঐ হাসপাতালের মালিক বাবলুর রহমান বাবলু   সাংবাদিকদেরকে বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি এখন কিছু করতে পারছি না। কারণ এই মুহূর্তে আমি ঢাকায় আছি।”

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888