এ যেন কাজির গরু কিতাবে আছে বাস্তবে নেই । তাজুল ইসলাম নামে এক মিল মালিক এর সত্যতা আছে বলে দাবী করে তিনি বলেন, ৬/৭ টি ছাড়া বাকি অটো রাইস মিল গুলো সারা বছর বন্ধ থাকে । এসব মিলমালিকরা অধিক মুনাফার জন্য শুধু ধান কিনে মজুদ করে । বাজার দর বৃদ্ধি পেলে অন্য জেলার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয় । ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য বিভাগের চাল সংগ্রহ অভিযান সফল না হওয়ার এটি একটি কারণ বলে দাবি করেন স্থানীয় নাগরিক কমিটির নেতা । অপরদিকে চাউল ব্যবসায়ী কপিল মালিক মোস্তফা কামাল বলেন, প্রতিকেজি ৩৬ টাকা চাল ও ২৬ টাকা মূল্যে ধান কেনার ঘোষণা দেয় সরকার। তবে সরকার দলের চেয়ে প্রতি কেজি চাল ৬-৭ টাকা বাজারে বেশি ছিল । লোকসান হবে জেনেটিক ওরে শর্ত ভঙ্গ করেছেন মিল মালিকরা । তবে ঠাকুরগাঁও জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজু বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার সব অটো মিলে চাল উৎপাদন হয় না । চুক্তি করে তবে চাল সরবরাহ দেয় না তারা।
পক্ষান্তরে চাতাল ব্যবসায়ীদের কালার সটার মিল নেই। এটি স্থাপন করা দুঃসাধ্য ব্যাপার । অন্যের কারখানা নিয়ে গিয়ে চাল সটার করা খরচ বেশি পড়ে । এ কারণে হাস্কিং মিল মালিকরা সরকারকে চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, আগে সটার ছাড়া চাল কিংস কিনেছে খাদ্য বিভাগ । সেই চালের পুষ্টিগুণ ছিল। সটার করা পর চাল দেখতে চকচক করে তবে এই চাল এর পুষ্টিগুণ নেই । ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোজাম্মেল হোসেন বলেন, চালের শরীর জুড়ে বাঁদামী রংয়ের আবরণ থাকে । আধুনিক পদ্ধতিতে চাল তৈরি কড়াই চেচালে পুষ্টির অপচয় হচ্ছে । ভাত খেয়ে পেট ভরছে তবে পুষ্টি পায় না মানুষ।
এদিকে যেসব রাইস মিলের সঙ্গে খাদ্য বিভাগের চুক্তি এবং নির্ধারিত সময়ের পরও চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানালেন কেন্দ্রীয়ভাবে এই ব্যাপারে কখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। সরজমিন তদন্ত করে ভুয়া মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply