দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ
গত শনিবার দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ মানব পাচার সংঘবন্ধ চক্রের দুই সদস্য আলমগীর হোসেন (৬০) ও আব্দুর রহমান (৩৭) কে কুষ্টিয়া নৃসিংহপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছেন।
জানা গেছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া দোগাছি গ্রামের মৃত কবেজ উদ্দীন প্রামানিকের ছেলে বাবু (৩০) লিবিয়াতে কাজের সন্ধানে যায়। লিবিয়াতে যাওয়ার পর কয়েক মাস স্বাভাবিক কাজকাম করতে থাকে। এক পর্যায়ে বেগমগঞ্জ থানার কালাম ব্যাপারির সাথে তার পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের এক পর্যায়ে কামাল ব্যাপারি তাকে ইতালিতে নিয়ে যেতে বিভিনś ভাবে উদ্বুদ্ধ করে। বিভিনś ভাবে টাকা দাবি করে। বাবু তার দুলাভাই তালোড়ার দোগাছি গ্রামের মৃত আলেফ উদ্দীন সরদারের ছেলে আহসান হাবিবকে ফোনে বিষয়টি জানায়। এবং বিভিনś সময় কালাম ব্যাপারি গংয়ের কথামতো তাদের দেওয়া মোবাইলে ও তাদের কথামতো উপজেলার চন্দ্রদীঘি গ্রামের জনৈক লিবিয়া প্রবাসি ব্যক্তির স্ত্রীকে টাকা দেয়। তার প্রায় ২০ দিন পর কালাম ব্যাপারিগং আহসান হাবিবকে ফোন দিয়ে জানান, তার শ্যালক বাবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত ২৯ অক্টোবর আহসান হাবিবের শ্যালক বাবু অজ্ঞাত অচেনা নম্বর থেকে ফোন দিয়ে কানśাজনিত কন্ঠে জানায় কিছু ব্যক্তি তাকে কাজ দেওয়ার কথা বলে অচেনা ভবনে আটক রেখে মারধার করছে ও ৮ লাখ টাকা দাবি করছে। এখান থেকে মুক্ত হতে ৮ লাখ টাকা পরিশোধ না করলে তারা তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। ৬টি বিকাশ নম্বর দিয়ে টাকা দিতে বলে। আহসান হাবিব তালোড়া বাজারের জনৈক বিকাশের দোকান থেকে কিছু টাকা পরিশোধ করে। বাঁকি টাকা পরিশোধের জন্য বাবুকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধার অব্যাহত রাখে। এ ব্যাপারে আহসান হাবিব গত শনিবার বাদী হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা গ্রহণ করেই সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (আদমদীঘি সার্কেল) কেএইচ এম এরশাদ ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সালাম কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থানায় যান। ওই থানার পুলিশের সহায়তায় কুষ্টিয়ার নৃসিংহপুর গ্রামে অভিযান চালান এবং ওই গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৬০) ও তারা চাঁদ মল্লিকের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৭) কে গ্রেফতার করেন। পুলিশি গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় আলমগীর হোসেন (৬০) ও আব্দুর রহমান (৩৭) কে গতকাল রোববার ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন সহ বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে।
#