দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া পৌরসভায় ১১ জানুয়ারি সোমবার স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে অফিস সহকারী কর আদায়কারী পদে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। তালোড়া পৌরসভার কাউন্সিলার এমরান আলী, মারুফ হাসান, শরিফুল আলম, তানভীর আহম্মেদ স্বাক্ষরিত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় পৌর-২ শাখা সচিব এর নিকট ইতিপূর্বে দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, তালোড়া পৌরসভায় ১৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ রয়েছে।
তাদের মাসিক বেতন, কাউন্সিলারদের ভাতা বাবদ মাসিক ৬ লাখ টাকা প্রয়োজন। তালোড়া পৌরসভার বার্ষিক যে পরিমাণ রাজস্ব আয় রয়েছে তা থেকে পৌরসভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন ভাতা পরিশোধ করা সম্ভব নয়। রাজস্ব খাত থেকে বেতন ভাতা পরিশোধ করতে না পেরে মেয়র আমিরুল ইসলাম বকুল পৌরসভার উন্নয়ন সহায়তার বরাদ্দ থেকে ২৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বেতন ভাতা পরিশোধ করেছেন।
উক্ত ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হয় নাই এর মাঝে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ১ মাসের এবং ৪ জন কাউন্সিলারের ৩ মাসের ভাতাদি বকেয়া রয়েছে। পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল ১৫ লাখ টাকা বকেয়া থাকা সত্বেও মেয়র ৬টি পদে লোক নিয়োগের উদ্দেশ্য জাতীয় একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগকারীরা সোমবার স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, পৌরসভার কোন সভা ছাড়াই মেয়র আমিরুল ইসলাম বকুল একক ভাবে তথাকথিত নিয়োগ বোর্ড গঠন করে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে অফিস সহকারী কর আদায়কারী নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করেছেন। পৌর সচিব কার্তিক চন্দ্র দাস পৌরসভার সকল তথ্য গোপন করে মন্ত্রণালয় থেকে উক্ত নিয়োগের ছারপত্র নিয়ে এসেছেন। উক্ত সচিব কার্তিক চন্দ্র দাস একজন দুর্নীতিবাজ তার বিরুদ্ধে দুপচাঁচিয়া পৌরসভার দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মেয়র ও এই দুর্নীতিবাজ সচিব যোগসাজস করে অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করছেন। পৌরসভার উদ্যোক্তা হিসাবে কর্মরত জনৈক মহিলাকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিচ্ছেন। তারা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে নিয়োগ বন্ধ সহ এই অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত মেয়র আমিরুল ইসলাম বকুল জানান, পৌরসভার অফিস সহকারী কর আদায়কারী আতিকুর রহমান গত ২৯ সেপ্টেম্বর মাসে বদলী হয়ে বগুড়া পৌরসভায় যোগদান করেছে। শূন্য এই পদে নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে গতকাল সোমবার নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করেছেন। পৌরসভার সভার কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই নিয়োগ প্রক্রিয়া বিষয়ে তিনি জানান, পৌরসভায় কোন সভা আহব্বান করলে কাউন্সিলাররা সভায় উপস্থিত হন না। পৌরসভার প্রয়োজনেই এই ১টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করছেন। নিয়োগ বোর্ডে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, তিনি জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ বোর্ডে পৌরসভার অফিস সহকারী কর আদায়কারী পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন। কাউন্সিলারদের মন্ত্রণালয়ে অভিযোগের বিষয়টি তিনি অভিযোগকারী কাউন্সিলারদের কাছ থেকে জেনেছেন কিন্তু এ বিষয়ে তার কিছুই করার নেই বলে কাউন্সিলারদেক জানিয়েও দিয়েছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply