শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্তির পথে শিলপাটা 

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৪৮৮ ভিউ টাইম
মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,ঠাকুরগাঁও  জেলায় রান্নায় রসদ জোগানো বিভিন্ন মসলা মিহি বা গুড়া করার জন্য এক সময় শিলপাটার বিকল্প বলতে কিছু ছিল না। প্রতিটি পরিবারে এ শিলপাটার ব্যবহার ছিলো ব্যাপক। সময়ের বিবর্তন ও আধুনিক প্রযুক্তির প্রবাহে ধীরে ধীরে কমতে থাকে  শিলপাটার ব্যবহার। ঠাকুরগাঁও জেলায় শিলপাটা এখন বিলুপ্তির পথে। কেবল মসলাই নয়, মেহেদি পাতা বাটা থেকে শুরু করে নানান ধরণের খাবারের ভর্তা বাটার কাজটিও সারা হতো শিলপাটায়। বর্তমানে বাসাবাড়িতে শিলপাটার খুব একটা ব্যবহার চোখে না পড়লেও বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠানে বাবুর্চির গ্রুপে আসা মহিলারা এসব অনুষ্ঠানের রান্নার মসলা শিলপাটাতেই বাটাবাটি করে থাকে। আর তাই এসব অনুষ্ঠানের খাবারের স্বাদই ভিন্ন। অথচ শিলপাটায় বাটা মসলার স্বাদ আধুনিক সমাজের অনেকেই ভুলে গেছেন। শিলপাটার বদলে এখন ব্ল্যান্ডার মেশিনেই চলে মসলা বাটার কাজ। আর প্যাকেট মসলাতো আছেই। শিলপাটার ব্যবহার কমে যাওয়ার পাশাপাশি পাটা ধারকাটা কারিগরদের জীবিকার পথও অনেকটা রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। অনেকেই এ পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছে। আর যারা আছে তারা মানবেতর জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে কোনরকমে টিকে রয়েছে। আদা, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, জিরা, পেয়াজ বাটার জন্য শিলপাটা ছাড়া আর কোন উপকরণ ছিলো না। শত ব্যস্ততায় ঘরের গৃহিণীরা চুলোয় রান্না শুরুর আগে শিলপাটায় মসলা বাটাবাটির কাজটি সেরে নিতেন। প্রতিটি ঘরে শিলপাটার ব্যবহার ছিল সচল। সময়ের বিবর্তনে এখন রান্নায় প্যাকেটের গুঁড়ো মসলা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। শিলপাটায় মসলা বাটার কথা ওঠলে ভ্রু কুঁচকে ওঠেন গৃহিনীরা।  ঠাকুরগাঁও জেলার গ্রাম-গঞ্জে ও শহরের নিম্নবিত্ত পরিবারে এখনো শিলপাটার ব্যবহার রয়েছে। আর মধ্যবিত্ত ও অভিজাত পরিবারে বাজারের প্যাকেট মসলা আর আদা, পেঁয়াজ, রসুন, জিরা পিষানোর জন্য ইলেকট্রনিক্স ব্ল্যান্ডার মেশিন শিলপাটার জায়গা দখল করে নিয়েছে। শিলপাটায় একসময় মেহেদি পাতা বাটা হতো। এখন সেটিও টিউব মেহেদীর দখলে। এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলার দেড় শতাধিক হার্ডওয়ার দোকানের মধ্যে ১০/১৫টি দোকানে শিলপাটা চোখে পড়বে। হার্ডওয়ার দোকানিরা জানান শিলপাটার চাহিদা কমে যাওয়ায় এটি এখন আর সব দোকানে খুব বেশি একটা রাখা হয় না। অন্যদিকে একসময় ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রতিনিয়ত দেখা মিলতো শিলপাটা ধারকাটা কারিগরদের। হাতুড়ি, ছেনি নিয়ে এসব কারিগররা বিভিন্ন বাড়ির সামনে গিয়ে হাকডাক তুলতো ‘পাটা খোদাইবেন-ডেকছির কাছা লাগাইবেন …’। এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না। শিলপাটা ধারকাটা কারিগরদের অনেকেই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার মুন্সিপাড়া বাসিন্দা বিজলি শিলপাটা ধারকাটা কারিগর মতিন, হোসেন, সুলতান জানান, আগে পাটা খোদাই কাজের কদর ছিল এখন কমে গেছে। অনেকেই এ কাজ ছেড়ে যুগালী, ইট ভাঙার কাজ করছে। কেউ কেউ বাপ-দাদার এ পেশায় টিকে থাকলেও মানবেতর জীবন পার করছে।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888