স্টাফ রিপোর্টার:: কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলে বাংলাদেশ কাস্টম হাউজের অন্যতম শাখা বেনাপোল কাস্টম হাউজ এখন অনিয়ম-দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে সহকারী কমিশনার আনজুমান আরা আক্তার সহ অনেকে।এদের বে-পরোয়া ঘুষ বানিজ্যে অতিষ্ঠ কর্মরত সি এন্ড এফ এজেন্ট সদস্যরা। স্টেশনটিতে কর্মরত সি এন্ড এফ এজেন্ট প্রতিনিধিদের কাছ হতে কৌশলে ফাইল আটকিয়ে অবৈধ্য ঘুষ গ্রহনের মাধ্যমে বেনাপোল কাস্টমসের আলোচিত কর্মকর্তা হয়ে ওঠেছেন তারা।
হয়রানী মূলক কর্মকান্ডে এলাকার সি এন্ড এফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ থাকলেও লাইসেন্স লক বা বাতিলের হুমকিতে তটস্থ হয়েই চাহিদা মত ঘুষ দিয়েই ফাইল সই করান বলে জানা গেছে। সরকারী গুরুত্বপূর্ন দপ্তরে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে নিজের উৎকোচ গ্রহনে প্রতিনিধি হিসাবে রেখেছেন সুজন সহ আরো কয়েকজন বহিরাগত ।
সবকিছু জানা থাকলেও বর্তমান কাস্টমস কমিশনার কোন অজানা রহস্যে ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করেন না তা আজও বোধগম্য নই ভূক্তভোগী সি এন্ড এফ এজেন্ট সদস্যদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ কর্মকর্তা ও তার সহযোগী সুজন কর্তৃক নানা হয়রানীর স্বীকার ভূক্তভোগী সদস্যরা সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ জানালে গত বৃহষ্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে প্রকাশ্যে সুজনের ঘুষ গ্রহন ও আনজুমান আরা আক্তারের অফিস হতে ফাইল বের করার প্রমান পাওয়া যায়। সুজন সম্পর্কে কাস্টমস সুত্র নিশ্চিত করেন সে একজন বহিরাগত।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার আনজুমান আরা আক্তারের সহিত মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, সুজনকে তিনি চিনেন না।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজে প্রবেশ করতে গেলে সর্বসাধারনকে কাস্টমস নিরাপত্তা সদস্যদের নিকট নিজ পরিচয়পত্র দেখানো সহ প্রশ্ন উত্তরের সন্মুখীন হতে হয় সেখানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার রুমে সুজনের অবাধ বিচরন জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ। এ ব্যাপারে কাস্টমস কমিশনারের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও সংযোগ না মেলায় বিবৃতি জানা সম্ভব হয়নী।
তাই অকপটে অনিয়ম-দূর্নীতি করেও দীর্ঘদীন ধরেই অবৈধ্য অর্থ হাতিয়েও বেনাপোল কাস্টমস এ রয়েছে বহাল তবিয়তে। ভূক্তভোগীদের দাবী অচিরেই বিতর্কিত কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক জবাবদিহিতায় এনে দূর্নীতি ও হয়রানী মুক্ত বেনাপোল কাস্টমস গড়তে হবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply