পবিত্র কুমার দাস / বার্তা সম্পাদক নিউজ ডেস্ক:
হোক তা টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি, টিম বাংলাদেশ দলের প্রধান চালিকাশক্তিই হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট ও বলে সাকিবই অন্যতম প্রধান নির্ভরতা।
যে কোন অধিনায়কই তার দিকে তাকিয়ে থাকেন। সাকিব একাই দলকে টেনে নিতে পারেন অনেক দুর। যেমন নিয়ে গিয়েছিলেন ২০১৯-এর বিশ্বকাপে। সাকিবের সাবলীল ব্যাটিং এবং রানের ফলগুধারা টিম বাংলাদেশকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হয়ে মাঠে নেমে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সাকিব। বল হাতে মোটামুটি উৎরে গেলেও ব্যাটিংয়ে চেনা সাকিবের দেখাই মিলছে না। অথচ ইতিহাস জানাচ্ছে অন্য সব দলের মত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ব্যাট ও বল হাতে সাকিবই ‘নাম্বার ওয়ান।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সাকিব দারুণ উজ্জ্বল। তামিম ইকবালের পরে জিম্বাবুয়ের সাথে সাকিবের রানই বেশি। জিম্বাবুইয়ানদের সাথে ৪৫ ম্যাচে ৪৪ ইনিংস ব্যাট করে ১৪০৪ রান করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সর্বোচ্চ ১০৫*। গড় ৪০.১১। শতক হাঁকিয়েছেন তিনটি। অর্ধশতক ৭টি। স্ট্রাইকরেটও ভাল, ৮৬.৯৮ করে।
একই সাথে উইকেট শিকারে সবার ওপরের সাকিব। ৪৫ ম্যাচে সর্বাধিক ৭৪ উইকেট শিকার করে জিম্বাবুইয়ানদের বিপক্ষেও বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার তিনি। অলরাউন্ডারদের মধ্যে উইকেট শিকারে সাকিবের ধারে কাছে নেই কেউ।
বাংলাদেশের শুধু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর সাবেক জিম্বাবুয়ান পেসবোলিং অলরাউন্ডার এল্টন চিগুম্বুরাই আছেন কাছাকাছি। স্পিন অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ ৩৮ ম্যাচে পেয়েছেন ২৫ উইকেট। সেরা বোলিং ১৩ রানে ৩ উইকেট। পাশাপাশি রান করেছেন ৩৮ ম্যাচে (২৯ ইনিংসে) ৬৮৬। সর্বোচ্চ ৮২*। গড় ৩১.১৮। অর্ধশতক ৫টি। স্ট্রাইকরেট ৭৭.১৬।
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের পক্ষে সেরা অলরাউন্ড পারফরমেন্স আছে এল্টন চিগুম্বুরার। এ জিম্বাবুইয়ান ৫৫ উইকেট দখলের পাশাপাশি ও সমান ম্যাচে ১১৯৯ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ৭৭*। হাফ সেঞ্চুরি ৬টি।
খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি সাকিব ভক্তই চাচ্ছেন প্রিয় তারকা এবার ব্যাট ও বল হাতে জ্বলে উঠে আগের মত দলের সাফল্যের রূপকার হবেন। অধিনায়ক তামিম ইকবালের আশাও তাই। তামিম বিশ্বাস করেন, সাকিব যে মানের ক্রিকেটার, তাতে যে কোন পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
তামিমের উপলব্ধি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ক্রিকেটারেরই পারফরমেন্সে ওঠানামা থাকে। সেটাই স্বাভাবিক। তবে তামিম চান সাকিবের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে।
সাকিব সম্পর্কে তামিমের মূল্যায়ন এমন, ‘আমি সবসময় আশাবাদী থাকি। আমার কাছে মনে হয়, এই পর্যায়ের খেলোয়াড় যে কোনো ম্যাচে যে কোনো পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। হোক ব্যাটিং, হোক বোলিং। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যে কোনো ক্রিকেটারের উত্থান-পতন থাকে। এটা খুব স্বাভাবিক। আমাদের তার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। সে এমন খেলোয়াড়, যত তাড়াতাড়ি হোক সে ফর্মে ফিরবে, রান করবে, উইকেট পাবে।’
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply