মিলন হোসেন / স্টাফ রিপোর্টার :
বগুড়ার জেলার শেরপুর উপজেলায় পর্নোগ্রাফি আইনে হওয়া মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে বাড়ি থেকে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর কলোনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ময়নুল হাসান ওরফে নিশাত (২০) ও শেরপুর পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে নাইমুর রহমান ওরফে শাকিল (২২)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের এক ছাত্রীর (১৯) অশ্লীল ছবি সংগ্রহ করে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন ময়নুল ও নাইমুর।
এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় ওই দুই তরুণের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। মামলার দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করে।
ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাঈফ আহমেদ বলেন, নাইমুর রহমানের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে গত মাসে নাইমুর তাঁর মুঠোফোনে ওই ছাত্রীর অশ্লীল ছবি তোলেন।পরে ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন নাইমুর। এতে করে ওই ছাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। এ ঘটনার পরও নাইমুর ওই ছবি ময়নুল হাসানের কাছে পাঠান। ময়নুল সেই ছবি দেখিয়ে কৌশলে ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। চলতি মাসে ময়নুল ওই ছবি ওই ছাত্রীর অভিভাবক ও পরিবারের সদস্যদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, সরলতার সুযোগ নিয়ে ওই দুই তরুণ তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করবেন, তা তিনি ভাবতেও পারেননি। তিনি তাঁদের বিচার দাবি করেন।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, এ ঘটনায় ওই দুই তরুণের অভিভাবকের কাছে তিনি বিচার চেয়েছিলেন। বিচার না করে তাঁরা উল্টো তাঁকেই নানাভাবে হুমকি-ধামকী দিয়েছেন।
এই বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই দুই তরুণের ব্যবহৃত দুটি অ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোন সেট জব্দ করে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। গ্রেপ্তারের পর ওই দুই তরুণ তাঁদের অপরাধের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তাঁদের আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply