মিলন হোসেন / স্টাফ রিপোর্টার :
বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর ফাঁপোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রকি (৩৩) হত্যায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরও ১০ থেকে ১২ জনকে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে বগুড়া সদর থানায় হাজির হয়ে নিহত মমিনুলের ছোট ভাই রুকু ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
উক্ত আসামীরা হলেন-
গাউসুল আজম (২৭),
মোহাম্মাদ মানিক (৩৭), মোহাম্মাদ আলী (৩২),
মেহেদী হাসান (২৭),
মোহাম্মাদ পলাশ (৪০), পারভেজ হোসেন (২৭),
সৈকত হোসেন (১৯), শাহাজাহান আলী (৪৭), মোহাম্মাদ হাবিব (২২) ও মোহাম্মাদ আরিফ (২৫)। উক্ত আসামীদের সবার বাড়ি ফাঁপোড় ইউনিয়নে।
এজাহারে নাম সহ মামলা দায়ের করার এক ঘন্টা পরেই সদর থানা পুলিশ মামলায় নাম অভিযুক্ত শাহাজাহান আলীকে কৈচড়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে । গ্রেফতারকৃত শাজাহান কৈচর মধ্যপাড়া মৃত সাদেক আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাত আনুমানিক সোয়া ৯টার সময় শহরতলীর ফাঁপোড় ইউনিয়নের হাটখোলা এলাকায় রকিকে গাউসুলের নেতৃত্বে পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই সময় কিলিং মিশনে অংশ নেন এজাহারে নাম থাকা অভিযুক্ত ১০ জনসহ আরও ১০থেকে ১২ জন। তারা প্রত্যেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নিহতের সারা শরীরে উপর্যপুরী ভাবে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) ময়নাতদন্ত শেষে গত বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রকির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে এবং আছর নামাজ পরে জানাজা শেষে তার মরদেহ টি শহরের বাড়ি বৃন্দাবন পাড়াতে দাফন করা হয়। তিনি ফাঁপোড় মন্ডলপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং আসন্ন ফাঁপোর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন আমরা এই ঘটনার পর থেকে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি।
বগুড়ার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফয়সাল মাহমুদ জানান, আমরা মামলার পরেই জড়িত একজন অভিযুক্তকে আসামী কে গ্রেফতার করেছি। এবং বাকিদের গ্রেফতারেও আমাদের অভিযান চলমান আছে। দ্রুত তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply