শুধুমাত্র গবেষণা কাজে ব্যাবহৃত সরকারি জমিতে ব্যাক্তিগত ভাবে সরকারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে নিয়ম বহির্ভূত ধান চাষ এর খবর ইতিমধ্যে স্থানীয় পত্র-পত্রিকা, একাধিক অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ সহ এশিয়ান টিভিতে সম্প্রচার হলেও টনক নড়েনি বিএআরআই এর উর্দ্ধতনদের।
কারন অনুসন্ধানে জানা যায়,যশোরের এ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ইসাকুলের অপকর্ম ও অনিয়ম-দূর্নীতির দোসর একাধিক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। টানা ১৫ বছরের অধিক সময় সরকারদলীয় ক্ষমতাধর ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে যশোরে গেড়ে বসে আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রটি জিম্মি করে নিজের আখের গোছানো,সরকারী চাকুরি করেও নিয়ম-নিতী উপক্ষো করেই ব্যাক্তিগত বীজ গুদাম বানিয়ে একাধিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খোলা। নিয়মিত অফিস না করেই সরকারী তেল সুবিধায় ব্যাক্তিগত ব্যবসায়িক কাজে যাতায়াত। কেন্দ্রটির একাধিক সিএসওর সাথে অশোভন আচরন সহ নিন্মস্থদের অকথ্য গালিগালাজ সহ মারধর করা । নিজ স্ত্রী মুসলিম একাডেমি স্কুলের শিক্ষিকা লাইলা খাতুনের নামে বিজ লাইসেন্স নিয়ে বীজ ব্যবসা পরিচালনা, আপন সহদর এর কীট নাশক ঔষধের দোকান হতে গবেষণা কাজের নামে ভূয়া বিল ভাউচার বানিয়ে সরকারী টাকা আত্নসাত সহ অনেক অনিয়মের সাথে জড়ালেও অধ্যবদি তার ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কোন জবাবদিহী বা শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহন করেনী।
অনিয়ম বিষয়ে যশোরের আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সি এসও) কওসার আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি গত ৪/৫ মাস মত যশোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি,ধান চাষ বিষয়ে বিস্তারিত একনো জানতে পারেনী। অভিযুক্ত কর্মকর্তা ইসাকুলের ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ প্রশ্নে তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত কোন চিঠি বা তেমন কোন ম্যাসেজ পাইনি। আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই চলছে।
এত অনিয়ম -দূর্নীতির পরেও একজন সরকারী চাকুরিজিবী কোন প্রকার জবাবদিহীতা ছাড়াই কোন অদৃশ্য শক্তির ইন্ধনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তা আজও বোধগম্য হয়নী যশোরের আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রেটির অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী সহ সাধারন জনগনের। সকলেই মুখিয়ে আছে কর্মকর্তা ইসাকুলের নানা অপকর্মের নেপথ্যে অদৃশ্য সহযোগীদের সম্পর্কে জানতে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply