বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

বিএ আরআই এর একাধিক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের ইন্ধনেই প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইসাকুলের লাগামহীন অনিয়ম-দূর্নীতি

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১
  • ২৯৪ ভিউ টাইম

মাহমুদ হাসান :: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট এর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র,যশোরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইসাকুলের অনিয়ম-দূর্নীতি এখন অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। যশোর সদর উপজেলার খয়েরতলা এলাকায় আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রটির ২৭ হেক্টর জমির সুবিশাল এরিয়ার বেশীরভাগ জমি অনিয়ম করে কথিত ধান চাষের মাধ্যমে কোটি টাকা আত্নসাত করেও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছায় কর্মস্থলে সে বহাল তবিয়তে।

শুধুমাত্র গবেষণা কাজে ব্যাবহৃত সরকারি জমিতে ব্যাক্তিগত ভাবে সরকারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে নিয়ম বহির্ভূত ধান চাষ এর খবর ইতিমধ্যে স্থানীয় পত্র-পত্রিকা, একাধিক অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ সহ এশিয়ান টিভিতে সম্প্রচার হলেও টনক নড়েনি বিএআরআই এর উর্দ্ধতনদের।

কারন অনুসন্ধানে জানা যায়,যশোরের এ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ইসাকুলের অপকর্ম ও অনিয়ম-দূর্নীতির দোসর একাধিক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। টানা ১৫ বছরের অধিক সময় সরকারদলীয় ক্ষমতাধর ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে যশোরে গেড়ে বসে আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রটি জিম্মি করে নিজের আখের গোছানো,সরকারী চাকুরি করেও নিয়ম-নিতী উপক্ষো করেই ব্যাক্তিগত বীজ গুদাম বানিয়ে একাধিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খোলা। নিয়মিত অফিস না করেই সরকারী তেল সুবিধায় ব্যাক্তিগত ব্যবসায়িক কাজে যাতায়াত। কেন্দ্রটির একাধিক সিএসওর সাথে অশোভন আচরন সহ নিন্মস্থদের অকথ্য গালিগালাজ সহ মারধর করা । নিজ স্ত্রী মুসলিম একাডেমি স্কুলের শিক্ষিকা লাইলা খাতুনের নামে বিজ লাইসেন্স নিয়ে বীজ ব্যবসা পরিচালনা, আপন সহদর এর কীট নাশক ঔষধের দোকান হতে গবেষণা কাজের নামে ভূয়া বিল ভাউচার বানিয়ে সরকারী টাকা আত্নসাত সহ অনেক অনিয়মের সাথে জড়ালেও অধ্যবদি তার ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কোন জবাবদিহী বা শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহন করেনী।

অনিয়ম বিষয়ে যশোরের আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সি এসও) কওসার আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি গত ৪/৫ মাস মত যশোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি,ধান চাষ বিষয়ে বিস্তারিত একনো জানতে পারেনী। অভিযুক্ত কর্মকর্তা ইসাকুলের ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ প্রশ্নে তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত কোন চিঠি বা তেমন কোন ম্যাসেজ পাইনি। আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই চলছে।

এত অনিয়ম -দূর্নীতির পরেও একজন সরকারী চাকুরিজিবী কোন প্রকার জবাবদিহীতা ছাড়াই কোন অদৃশ্য শক্তির ইন্ধনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তা আজও বোধগম্য হয়নী যশোরের আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রেটির অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী সহ সাধারন জনগনের। সকলেই মুখিয়ে আছে কর্মকর্তা ইসাকুলের নানা অপকর্মের নেপথ্যে অদৃশ্য সহযোগীদের সম্পর্কে জানতে।

 

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888