মিলন হোসেন / স্টাফ রিপোর্টার :
বগুড়ায় স্থানীয় সালিশকে কেন্দ্র করে হাসান সরকার (৫০) নামে এক বাস ড্রাইভারকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তি শহরের পালসা সরকার পাড়ার মৃত শামসু সরকারের ছেলে। শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে  নিজ বাড়ির সামনে রুপম সরকার নামের স্থানীয় বখাটে যুবক তার স্ত্রী ও সহযোগীদের নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। পরে স্থানীয়রা হাসান সরকারকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গতকাল (১৭ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার বিকেলে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়৷

এই ঘটনায় নিহতের ছেলে জাকির সরকার মৃদুল শুক্রবার দুপুরে বগুড়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার এক মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করতো সেখানকার বখাটে হিসেবে পরিচিত রুপম সরকার ৷ একপর্যায়ে মেয়েটিকে নানা রকম কু-প্রস্তাব দিতে থাকে সে।

এই নিয়ে এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে একটি সালিশ বসে।  বখাটে রুপম সেই সালিশে হাসানকে দেখে নেওয়া হুমকি দেয়।

এদিকে সালিশটি কার্যকর না হওয়ায় ভুক্তভোগী মেয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে বখাটে রুপমের মাঝে আরও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে রুপম ও তার স্ত্রী খুশি বেগম তাদের কিছু সহযোগীদের নিয়ে হাসানের পথ রোধ করে গালিগালাজ শুরু করে।

একপর্যায়ে মূল অভিযুক্ত রুপম হাসানের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কয়েকটি কোপ দিলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

পরে বাকি অভিযুক্তরা তাকে প্রহার শুরু করলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। ওই সময় অভিযুক্তরা দৌঁড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) আব্দুর রশিদ সরকার জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। এই বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল সেটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে। এবং সকলকে ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।