মিলন হোসেন / স্টাফ রিপোর্টার :
আজ মঙ্গলবার ০৫ ই অক্টোবর পুলিশ সুপারের সভা কক্ষে মোটর শ্রমিকদের দুই পক্ষের শ্রমিক নেতারা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ভোট গ্রহণের ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। এবং তারা নির্বাচনী পরিবেশ শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিক ও শান্তিপূণ রাখার লক্ষ্যে উভয় পক্ষ জেলা পুলিশের কাছে ১১ দফা অঙ্গীকারনামাও দিয়েছে।
উক্ত বৈঠকের পর বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভোট গ্রহণের ভেন্যু নিয়ে চলমান বিরোধের নিরসন হয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার ০৭ ই অক্টোবর বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভা। দীর্ঘ সময় পর সাধারণ সভা এবং নির্বাচনকে ঘিরে কয়েক সপ্তাহ ধরেই দুই পক্ষের উত্তেজনা ছিলো। বার্ষিক সাধারণ সভার ভেন্যু নির্ধারণ হলেও নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ভেন্যু নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলছিলো। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কর পরিস্থিতির শঙ্কাও ছিলো অনেকের।
সম্প্রতি বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী মোটর শ্রমিকদের দুই পক্ষের বিরোধ নিরসনের উদ্যোগ নেন। তার মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দুই পক্ষের নেতারা। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী জানান, বৈঠকে একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ভোটগ্রহণের ব্যাপারে দুই পক্ষের আর কোনো আপত্তি নেই। প্রাথমিকভাবে বগুড়া জিলা স্কুলে ভোটগ্রহণের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন উভয়পক্ষই। ৭ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভায় তারা সেটি চূড়ান্ত করবেন। এসময় দুই পক্ষের নেতারা এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে ১১টি শর্ত সম্বলিত একটি অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষর করে তা পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেন।
উক্ত বৈঠকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রশীদ, বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা, বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল হামিদ মিটুল, সহ-সভাপতি কামরুল মোর্শেদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলাল, সহ- সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু সহ দুই পক্ষের শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply