বগুড়ার শিবগঞ্জের ৭নং বিহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী মহিদুল ইসলামের প্রচারণার সময় পরিকল্পিত ভাবে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ করে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মতিউর রহমান মতিনের উপর ঈর্ষান্বিত হয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

এতে আহত হয়েছেন তিনজন।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিহার চাঁনপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।  আহতরা হলেন ভান্ডারিপাড়ার শামীম (২৮) ও সাব্বির (২০) খলিলুর রহমান ।
তারা বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

বিহার চাঁনপাড়া ঘটনার স্থলে দুইটি মোটরসাইকেল ভাংচুর অবস্থায় পড়ে থাকলে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করেন।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে বিহার ইউনিয়নে যুবগীর সভাপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী মতিউর রহমান মতিন মঙ্গলবার বিকালে তার লোকজনসহ বিহারহাট এলাকায় গণসংযোগ করা কালে চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিদুল তার লোকজনসহ মতিনকে দেখে অকর্থ ভাষায় গালিগালাজ করে। এমন কি বিকাল থেকেই মহিদুলসহ তার লোকজন গায়ে পড়ে দ্বন্দ করার চেষ্টা করলে মতিন বিভিন্ন এলাকায় তার প্রচারণা শেষ করে সন্ধ্যার আগেই নিজ বাড়িতে আসেন। মহিদুল মতিনের জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে পূর্ব থেকেই মতিন সহ তার লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি সহ খুন করার হুমকি দিয়ে আসছে। মতিনের ভাবমূর্তি জনগণের নিকট ক্ষুন্ন করার লক্ষে পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়ে তাকেসহ তার লোকজনের ওপর দোষারোপ করছে মহিদুল ইসলাম।

এব্যাপারে বিহার ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মতিউর রহমান মতিন জানান, তিনি তার নেতা কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরেছেন। নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন প্রার্থী মহিদুল। তিনি আরো বলেন,এর আগে বিভিন্ন জনসভায় মহিদুল আমার লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসায়, আমরা সন্ধ্যার আগেই প্রোগ্রাম শেষ করে বাড়ি ফিরি। তিনি আরো জামান, তারা নিজেরাই পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়ে আমিসহ আমার লোকজনকে দোষারোপ করেছে। আমি তার এধরনের নোংড়ামী রাজনিতির জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এবিষয়ে মহিদুলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি আরও জানান এ ঘটনায় কোন পক্ষেই থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।