দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি :
৭ মার্চ সোমবার দুপুরে দুপচাঁচিয়া প্রেসক্লাবে নিজ শ্বশুর উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা বাবুল হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে জামাই আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের খলিশ্বর গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার শ্বশুরের সাথে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর সৌদে আরবে অবস্থান করেন। যৌথভাবে সৌদি আরব থেকে দেশে বিভিন্ন সময় টাকাও পাঠিয়েছেন। দেশে ফিরে পারিবারিক ভাবে বাবুল হোসেন বাবুর মেয়ে মোছাঃ রুমা আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর শ্বশুর নিজ নামীয় দুপচাঁচিয়া থানা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চকসুখানগাড়ী মৌজার পরিত্যাক্ত ২১ শতাংশ জায়গায় পাকা বাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য তাকে প্রস্তাব দেয়। আব্দুল ওহাব সরল বিশ্বাসে প্রবাস থেকে আনা অর্থসহ শ্বাশুরির জমি বিক্রি করা টাকা দিয়ে ৯ শতাংশ জায়গার উপর তিন তলা বিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মাণ শুরু করেন। দোতলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ করে, প্রায় ৫ বছর যাবৎ নিজ তলায় টাইল্স ও সেনেট্যারী দোকান দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং দ্বিতীয় তলায় পরিবার সহ বসবাস করতে থাকেন। এরই মাঝে শ্বশুরের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা হিসাবে থানায় নাশকতা মমলা হয়। শ্বশুরের সাথে সু-সম্পর্ক থাকায় তার ব্যবসা প্রসারের জন্য বাড়ির খরচ বাবদ শ্বশুর নিজ নামীয় স্যোসাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড দুপচাঁচিয়া শাখার হিসাব থেকে ৭৫ লাখ টাকার একটি চেক তাকে প্রদান করে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সেই চেকটি স্যোসাল ইসলামি ব্যাংকে নিয়ে গেলে ব্যাংকে তার একাউন্টে পর্যপ্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা ডিজঅনার করে। এ বিষয়ে আব্দুল ওহাব বগুড়া আদালতে শ্বশুরের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। এদিকে তার শ্বশুর তার নির্মানাধীন বাড়ির সামনে মটরসাইকেলের হ্যান্ডেলে ঝুলন্ত হাত ব্যাগ থেকে ওই চেকটি চুরি হয়েছে মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় তদন্তের মাধ্যমে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এদিকে আদালতে শ্বশুর বাবুল হোসেন জানান, চেকের স্বাক্ষরটি তার নয়। আদালতের নির্দেশে স্বাক্ষরটি এক্সপার্ট বিশেষজ্ঞ দ্বারা তারই স্বাক্ষর প্রমাণিত হয়েছে। মামলাটি আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। তার অন্যায়ের এসব প্রতিবাদ করতে গিয়ে শ্বাশুরি পারুল বেগম শ্বশুরের দ্বারা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হন। বর্তমানে তার শ্বাশুরি তার দুই নাবালিকা মেয়ে সহ তার নির্মাণাধীন বাড়িতেই বসবাস করছে। বাড়িটি নির্মাণসহ মামলাটি পরিচালনা করতে গিয়ে সে আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার শ্বশুর তাকে নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে গত রোববার উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আব্দুল ওহাব তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনটির প্রতিবাদ জানান এবং তার ও তার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে শ্বাশুরি পারুল বেগম, স্ত্রী রুমা আক্তার, দুই কিশোরী শালিকা মরিয়ম খাতুন (১৪) ও জান্নাতুন মাওয়া (১০) উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply