সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

চারঘাটের অধিকাংশ স্কুলে নেই মানসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৯
  • ১০৬৩ ভিউ টাইম

চারঘাট প্রতিনিধি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থা রাখার পরিপত্র জারি করলেও রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে তা মানা হচ্ছে না।

সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এই নির্দেশনা মানছে না।চারঘাট পৌরসভাসহ ছয় ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক, কিন্ডার গার্টেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এই প্রতিবেদককে এই বিষয়ে অভিযোগ করেন।

২০১৫ সালের ২৩ জুন স্যানিটেশন ব্যবহার উন্নয়নে ১১টি নির্দেশনা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাড়াতে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিকে টয়লেট ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের নির্দেশনাও দেওয়া হয় পরিপত্রে।

পরিপত্রে টয়লেটে ঢাকনাযুক্ত প্লাস্টিকের পাত্র রাখা, জেন্ডারবান্ধব স্যানিটেশন নিশ্চিত করা, ছাত্রীদের পিরিয়ডের বিষয়ে একজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়াসহ ১১টি নির্দেশনা দেওয়া আছে। উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর জন্য একটি টয়লেট আছে, তবে তাও নাজুক!

চারঘাট ইউনিয়নের এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আলামিন ইসলাম (১১) বলে, “আমাদের বিদ্যালয়ে টয়লেট খুবই অপরিষ্কার, ব্যবহার করা যায় না। তহমিনা খাতুন (১০) আরেক শিক্ষার্থী বলে, “কল থেকে পানি নিয়ে গিয়ে টয়লেটে যেতে হয়। আর সাবানও নাই।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রধান শিক্ষক এই প্রতিবেদককে বলেন, এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। আগে আমাদের শিক্ষকদের টয়লেট ছিল না, এখন হয়েছে। এটাও আস্তে আস্তে হবে।

বুধবার উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক, কিন্ডার গার্টেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজে গিয়ে কথা হয় সংশ্লিষ্ট ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে। টয়লেট তো দূরের কথা, টিউবওয়েলও বিশুদ্ধ পানি ওঠে না কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোজাম্মেল হক বলেন, “ স্কুলে মেয়েদের জন্য পরিষ্কার ও ব্যবহার উপযোগী টয়লেট থাকা জরুরি। “ঋতুকালে যেন তারা বিদ্যালয়ে স্যানিটেশনের সুবিধা পায় সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।এমনিতেই শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার ব্যবহার করলে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের ব্যক্তিরা কৃমি, পেটের পীড়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।”

এ ব্যাপারে উপজেলা  শিক্ষা কর্মকর্তা রশিদা ইয়াসমিন জানান, এ ব্যাপারে আমরা সব সময়ই তৎপর।আমাদের কাজ চলমান আছে। উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

উল্লেখ্য, ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শতকার ৮৪ ভাগ বিদ্যালয়ে টয়লেট থাকলেও সেগুলোর মাত্র ২৪ ভাগ উন্নত, ব্যবহারোপযোগী ও পরিচ্ছন্ন। প্রতিবন্ধী শিশুদের ব্যবহার উপযোগী পয়ঃনিষ্কাশন অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। এছাড়া মাত্র ২২ শতাংশ স্কুলে মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেট আছে।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888