২৮ মে,২০২০ জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে স্বামীর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় উলঙ্গ করে গাছের সাথে বেঁধে সারা শরীরে গরম লোহার ছ্যাঁকা ও মারপিট করে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে স্বামী ও ভাশুড় (স্বামীর বড় ভাই)। প্রতিবেশিরা মেয়েটিকে মুমূর্ষ্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। ঘটনাটি গত বুধবার রাতে পৌর সদরের শ্রীকৃষ্টপুর গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় মেয়ের পিতা মামলা দায়ের করেছেন। এতে লম্পট স্বামী সাকিল হোসেন (২৪) ও ভাশুড় (স্বামীর বড় ভাই) আসলাম হোসেন (৩৫) কে তাৎক্ষণিক তাদের বাড়ি থেকে আটক করেছে থানা পুলিশ। পুলিশ ও মেয়ের পিতার দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ২৬ মে বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানা এলাকার সান্তাহার লকুকলোনীর আইয়ুব আলী তার মেয়ে সন্ধ্যা প্রদীপ ছদ্ম নাম (খাতিজা বেগম) কে আক্কেলপুর পৌর সদরের শ্রীকৃষ্টপুর গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে শাকিল হোসেন এর সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর নজরে আসে স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি। সে সময় থেকে দু’জনের মধ্যে চলে আসছিল দাম্পত্য কলহ। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার রাতে মুঠো ফোনে অজ্ঞাত মেয়ের সাথে স্বামী শাকিল ফোনালাপ করলে স্ত্রী তাতে বাধা দেন। এ অপরাধে স্বামী শাকিল, তার বড় ভাই আসলাম ((৩৫), শশুড় আব্দুস সালাম (৫৮) ও শাশুড়ী সেলিনা বেগম (৫০) সকলে মিলে মেয়েটিকে উলঙ্গ করে দড়ি দিয়ে বাড়ির ভিতর লিচু গাছের সাথে বেঁধে হাত, পা, মুখমন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম লোহার ছ্যাঁকা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এক সময় মাথায় আঘাত করলে তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে গেলেও বাড়ির সদর দরজা বন্ধ থাকায় কেহ সহজে প্রবেশ করতে পারেন নাই। মেয়েটির আর্তচিৎকার সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে প্রতিবেশিরা ধাক্কা দিয়ে দরজা ভেংগে বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং মেয়েটিকে মুমূর্ষ্য অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ওবায়েদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা পাওয়া মাত্র কালক্ষেপন না করে তাদের বাড়ি থেকে লম্পট স্বামী শাকিল ও ভাশুড় আসলাম কে আটক করা হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply