পবিত্র কুমার দাস : আদমদীঘির সান্তাহারের অধিকাংশ আবাসিক বোডিংয়ে ফের চলছে দেহ ব্যবসার কারবার। এক শ্রেনির বোডিং মালিক ও ম্যানেজার অর্থের লোভে বোডিং ব্যবসার আড়ালে চালাচ্ছেন অবৈধ কর্মকান্ড।
গত সোমবার রাতে থানা পুলিশ পলাশ বোডিংয়ে অভিযান চালিয়ে ৪ নারীসহ ১০জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- গাইবান্দা সদরের নারায়নপুর গ্রামের সুজন মিয়া (২৬), আত্রাই উপজেলার সাহাগোলার রুবেল (২৭), নওগাঁর শেরপুরের ওবাইদুল (৩০), বানিপুরের আব্দুল রশিদ (২৫), ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাচরার ইউসুফ আলী (২৪), বগুড়ার পার্বতীপুরের স্বপন (৩৮), বগুড়ার শিবগঞ্জের জুলি বেগম (২০), নারায়নগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের পারভিন খাতুন বৃষ্টি (২৪), সাঘাটা বোনারপাড়ার রুপা বেগম (১৯) ও রাজশাহির তালাইমারির শাবানা (২৬)। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জালাল উদ্দীন জানান, সান্তাহার পৌর এলাকার কয়েকটি চিহিৃত আবাসিক বোডিংয়ে নারী সরবরাহ করে দেহ ব্যবসা ও জুয়া খেলা চালিয়ে আসছিল। গত সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে উপ-পরিদর্শক আইউব আলী ফোর্সসহ পলাশ বোডিংয়ে অভিযান চালিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপের লিপ্ত থাকার অভিযোগে উল্লেখিত চার নারীসহ ১০জনকে গ্রেফতার করে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই পলাশ বোডিং থেকে ৬জন জুয়াড়ীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় পলাশ বোডিংয়ের ম্যানেজার বাবুসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর সকল আবাসিক বোডিং মালিক ও ম্যানেজারগনকে তাদের প্রতিষ্ঠানে কোন জুয়া কিংবা নারী সরবরাহ করে অনৈতিক কাজকর্ম থেকে বিরত রাখার জন্য বলা হলেও তারা কিছুদিন দিন বিরত থেকে ফের জুয়ার পাশাপশি নারী দিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ চালায়।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply