শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী জামাই বেটির শুরু হয়েছে ভাদর কাটানির মহা আনন্দ ।

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৪১ ভিউ টাইম
 মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বাংলার শুরু হয়েছে ‘ভাদর কাটানি’ উৎসব। মহামারী করোনাভাইরাস ও বন্যা হওয়া সত্যেও মানুষ এখনো ভুলেনি ভাদর কাটানি মহা উৎসব। পহেলা ভাদ্র ১৫ আগস্ট শনিবার । ঠাকুরগাঁও জেলা সহ উত্তরাঞ্চলে শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী উৎসব ভাদর কাটানিতে বাবার বাড়ি নাইওর যাওয়া শুরু করেছে নববধূরা। শহরে এর প্রভাব কম থাকলেও গ্রামে এ উৎসবটি অধিক প্রচলিত।এ উৎসবের রীতি অনুযায়ী, ভাদ্র মাসের প্রথম দিন থেকে কমপক্ষে ১০ দিন পর্যন্ত স্বামীর মঙ্গল কামনায় কোনো নববধূ তার স্বামীর মুখ দর্শন করবেন না। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ‘ভাদর কাটানির’ কোনো ব্যাখ্যা না থাকলেও এ অঞ্চলের আদি প্রথা অনুযায়ী যুগ যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে এ উৎসব। জানা যায়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় সহ বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে এবং ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণ দিনাজপুর মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের কোনো কোনো অংশে এই প্রথা চালু আছে। এছাড়াও জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি জেলার অনেক এলাকার বাঙ্গালি সমাজেও এই প্রথা চালু রয়েছে। আধুনিক যুগে ভাদর কাটানির পক্ষে নিরপেক্ষ কোনো যুক্তিতর্ক নেই। তবুও ভাদর কাটানি উৎসব থেমে নেই। স্থানীয় লোকজনের বিশ্বাস, বিবাহিত জীবনের প্রথম ভাদ্র মাসের ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত স্বামীর মুখ দেখলে অমঙ্গল হবে। তাছাড়া সাধারণত এ মাসে বিয়ের কোনো আয়োজনও চোখে পড়ে না।
প্রচলিত এ প্রথাটি যুগ যুগ ধরে এ অঞ্চলে হিন্দুু-মুসলিমদের মধ্যে পালিত হয়ে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী, কনে পক্ষ শ্রাবণ মাসের দু-একদিন বাকি থাকতেই কনেকে বাবার বাড়ি নিয়ে আসতে বরপক্ষের বাড়িতে বিভিন্ন রকমের ফল, মিষ্টি, পায়েসসহ নানা রকম পিঠা-পুলি নিয়ে যায়। বরপক্ষও সাধ্যমতো তাদের আপ্যায়ন করে। ঠাকুরগাঁও জেলার প্রবীণ সাংবাদিক শাহিন ফেরদৌস  জানান, ভাদর কাটানি মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনো ধর্মীয় বিষয় না হলেও এ অঞ্চলে প্রথাটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এক সময় সম্ভ্রান্ত হিন্দু সম্প্রদায় এ উৎসবকে জাঁকজমকভাবে পালন করত। তাদের এ রেওয়াজ ক্রমান্বয়ে এ অঞ্চলের মানুুষকে প্রভাবিত করে। একপর্যায়ে উৎসবটি এ অঞ্চলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে দাঁড়ায়।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888