মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,করোনাভাইরাসের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও থেমে নেই ঠাকুরগাঁও জেলায় শিক্ষকদের প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সরকারি বে-সরকারি শিক্ষকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজ বাসায় ছাত্রদের বাসায় ও ভাড়াকরা বাসায় বেপরোয়াভাবে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা শহরের এলাকা গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শান্তি বাগ, ঈদগা মাঠ,তেঁতুল তলা, গুয়াগাঁও,মুন্সি পাড়া,কৃষি ব্যাংক চত্বর ,টি এন টি রোড,জোড়া কবর,নেতার মোড়,আল হাসনা ইসলামিক স্কুল (পুরাতন) চত্বর , সালন্দর এর আস পাশ সহ ২০ থেকে ৩০ টি স্থানে স্কুল ও কলেজের শিক্ষকরা জমজমাট ভাবে কোচিং এবং প্রাইভেট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। গোপন সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষকরা সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উক্ত সময়টি বেছে নিয়েছেন অবৈধ্য কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য পরিচালনার জন্য। এসব শিক্ষা বাণিজ্য কেন্দ্রে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে প্রতি ব্যাজে ২০ থেকে ৪০ জন ছাত্র -ছাত্রী নিয়ে পড়ানো হয়, এবং প্রত্যেকের নিকট থেকে প্রতি মাসে ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোশারফ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এভাবে প্রাইভেট ও কোচিং চালুর বিষয়ে আমার জানা নেই । আবার পীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল্লাহ সাথে মুঠোফোনে কথা হলে, তিনি জানান, এভাবে প্রাইভেট ও কোচিং চালুর বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে কেউ কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য করে থাকলে তারা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করছে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হবে। ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আল মামুন সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, কোচিং প্রাইভেট পড়ানোর সময় সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী কাজ কেউ করে থাকলে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওয়াতায় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবার পীরগঞ্জ উপজেলার এ্যাসিলেন্ড তরিকুল ইসলাম উপজেলার নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন ‌ (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে তাঁর সাথে কথা হলে, তিনি জানান কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানো এ সময়ে সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী কাজ কেউ করে থাকলে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।