বেলাল হোসেন নিউজ ডেক্স: রমজানকে বলা হয় কোরআনের মাস। আর কোরআন যেহেতু এসেছে হেদায়াতের বার্তা নিয়ে, তাই রমজানকে হেদায়াতের মাস বলা হয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যাকে ভালোবাসেন তাকে মোবারক এই মাসে সিয়াম সাধনার তাওফিক দান করেন। আত্মসংযমের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তার মর্যাদাকে উঁচু করে দেন। তাকে আপন হেদায়াতের নূর দিয়ে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন। সে হয়ে যায় মাসব্যাপী খোদায়ী প্রশিক্ষণ কোর্সের শ্রেষ্ঠ সাধক, কামেল মুমিন। প্রতিটি প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য একটি সিলেবাস বা পাঠ্য তালিকা থাকে, আর মাহে রমজানের এই প্রশিক্ষণ কোর্সের সিলেবাস হলো পবিত্র কোরআন। তাই হেদায়াতের এই মাসে সিয়াম সাধনার পাশাপাশি কোরআনের চর্চায় আত্মনিয়োগ করা হবে কামিল মুমিনের বৈশিষ্ট্য। রমজান কোরআন নাজিলের মাস, তাই কোরআনের সঙ্গে গভীর সখ্য গড়ে তোলার সুবর্ণ সুযোগ এটিই। আর নেক কাজে উদ্যোগী হওয়া ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকা সব সময়ই মুমিনের জন্য আবশ্যক। কিন্তু এ মাসে আরো বেশি সচেতন হওয়া দরকার। কেননা আল্লাহর রহমত নাজিল হওয়ার মাসে নেক কাজ সম্পাদন ও অন্যায় কাজ বর্জনের মাধ্যমে নিজেকে ভাগ্যবানদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার এটাই শ্রেষ্ঠ সময়। বিশেষ করে তাকওয়া অর্জনের যে উদ্দেশ্য সিয়াম পালনের মধ্যে রয়েছে, তাতে সফল হতে হলে পবিত্র এই মাসে বুঝে বুঝে কোরআন পাঠের প্রতি আমাদের মনোযোগী হতে হবে।
জগতের প্রতিটি প্রশিক্ষণের একটি বিষয়বস্তু থাকে, থাকে একটি সিলেবাস। আল্লাহ আমাদের রমজানের সিয়াম সাধনার এই প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেছেন তাকওয়া, আর এ জন্য আমাদের সামনে একটি সিলেবাস দিয়েছেন—সেটি হলো আল-কোরআন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ কতই না সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন—‘রমজান এমন একটি মাস যে মাসে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘এটি বরকতময় কিতাব, যা আমি নাজিল করেছি। সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১৫৫)
হে আল্লাহ! এই রমজানে আমাদের কোরআনের সঙ্গে বেশি বেশি সময় কাটানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply