দুপচাঁচিয়া ( বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকায় সংঘটিত হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত ফারুক হোসেন (৩৬) এর অবস্থা এখনো শংকটাপন্ন।রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম অবস্থায় তাকে প্রথমে দুপচাঁচিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়া বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে করোনা ইউনিট থাকায় এবং মানুষ মারা যাওয়ায় ভিকটিমকে বর্তমানে ফারুক হোসেন একটি বেসরকারী ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছে। এ সংক্রান্তে দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার ছোটধাপের আহত ফারুক হোসেনের পিতা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপচাঁচিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট ( সোমবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তার বড় ছেলে ফারুক হোসেনকে স্থানীয় কাউন্সিলার আব্দুস সালাম আলম সু-কৌশলে হত্যা করিবার জন্য ফুসলাইয়া অপহরণ করিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দোতলায় ডেকে নিয়ে যায়। ফারুক হোসেন কে হত্যা চেষ্টায় সংগঠিত হয় দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার মন্ডল পাড়ার মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে মুমিনুর রহমান তালুকদার পলাশ (৪৮), জয়পুরপাড়ার গোলজার হোসেন বাবলুর ছেলে হানিফ হোসেন ডলার (৩২), তসলিমের ছেলে খোকন হোসেন (৩৪), উপজেলার খোলাশ গ্রামের আফছার আলীর ছেলে জাহাংগীর হোসেন জনি (৩৬), মেইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুস ছালাম আলম (৪০) সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন সন্ত্রাসীরা। সেখানে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্তকারীরা ফারুক হোসেনের দুই পা হাত সহ বিভিন্ন জায়গায় এসএস পাইপ দিয়ে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। এছাড়াও তার পায়ে ছুরিকাঘাতও করা হয়। ফারুক হোসেনের নিকট থেকে একটি মোবাইল ফোন এবং ৮০,০০০ (আশি হাজার) টাকা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।
থানা অফিসার ইনচার্জ হাসান আলী মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এজাহার ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের তৎপরতা চলছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply