মিলন হোসেন / স্টাফ রিপোর্টার : আজ রোববার ২৩ শে জানুয়ারি বেলা ১১ টার দিকে সরকারী আজিজুল হক কলেজ প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিলে তাদের ব্যানার কেড়ে নেয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজের অধ্যক্ষ জনাব শাহজাহান আলী ব্যানার কেড়ে নিয়ে মানববন্ধন বন্ধ করতে চান।

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সবধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। কিন্তু সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। তাদের স্মারকলিপি দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মানবন্ধনে থাকা আয়োজকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে করোনা সংক্রমণের ফলে আমাদের শিক্ষাকার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল। পরবর্তীতে করোনা স্বাভাবিক হওয়ায় সকল শিক্ষা কার্যক্রম সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু এমন সময় আবার চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত করে দেয় সরকার।

ফলে সাধারণ পরিবারের বহু শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিয়তার মুখে পড়েছে। এ কারণে মানব বন্ধনের মাধ্যমে সরকারের কাছে পরীক্ষা চালু রাখার দাবি জানানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু মানবন্ধনের শুরু হওয়ার আগেই কলেজ প্রশাসন এবং ছাত্রলীগ ভণ্ডুল করার চেষ্টা করে। কিন্তু এক পর্যায়ে বাধার মুখে মানববন্ধন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, এখন প্রায় সবাই ভ্যাকসিন পেয়েছে। আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা দিব। আমরা শুধু এই কথাই বলতে এসেছিলাম। কিন্তু সেই কথা বলতে দেয়া হয়নি।

এদিকে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের দাবি, মানব বন্ধনে বহিরাগত ও অছাত্র সংগঠনের সদস্যরা প্রবেশ করেছে। এ ছাড়াও মানব বন্ধনের আয়োজকরা কলেজ প্রশাসন, ছাত্রলীগের কলেজ শাখাকে জানায়নি। এই জন্য সমাবেশ বন্ধ করতে বলা হয়।

এই সব ঘটনার এক পর্যায়ে সমাবেশের আহ্বায়ক সিরাজ উদ্দিন মানবন্ধন বন্ধের ঘোষণা দেন। আজিজুল হক কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের মাস্টার্স শেষ পর্বের এই শিক্ষার্থী বলেন, মানব বন্ধন শুরু করার আগেই ব্যানার নিয়ে যান অধ্যক্ষ। পরবর্তীতে ছাত্রলীগও আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছিল না। তবে অধ্যক্ষ স্যার আমাদের স্মারকলিপি দেয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা সেটি দিয়েছি।

ব্যানার কেড়ে নেয়া বা বাধা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বলেন, এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।