উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ সোমবার (২৫,নভেম্বর) ২৭৪: নড়াইলের নড়াগাতি থানার পাটনা দক্ষিণপাড়ার দিনমজুর আশরাফ শেখের বসতঘরে গভীর রাতে আগু’ন দিয়ে পু’ড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে জমি দখ’লের অ’পচেষ্টায়। এ ঘটনায় শিশুসহ পরিবারের নয় সদস্য নয়দিন যাবত খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। ক্ষ’তিগ্রস্থরা জানান, রাত ১২টার দিকে পাটনা দক্ষিণপাড়ার আশরাফ শেখের টিনের ঘরে কে বা কারা আ”গুন ধরিয়ে পু’ড়িয়ে দেয়। এতে ঘরের আসবাবপত্রসহ সবকিছু পু’ড়ে ছা’ই হয়েছে। তবে এ সময় ঘরের মধ্যে কেউ ছিলেন না। এর আগে আরো তিনবার বাড়িঘরে আ’গুন দেয়ার চেষ্টায় আশরাফ শেখের পরিবারের সদস্যরা কয়েকদিন ধরে পাশের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বসতভিটা দ’খলের অ’পচেষ্টায় একটি চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। তবে অভিযুক্তদের নাম বলতে সাহস পায়’নি ভূ’ক্তভোগীরা। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উľ¡ল রায় জানান, আশরাফ শেখ জানান, তাদের পত্রিক নিবাস গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়। প্রায় ৬০ বছর আগে তার বাবা নড়াইলের নড়াগাতি থানার পাটনা গ্রামে আসেন। এখানে তিনি মসজিদে ইমামতি করতেন। গ্রামবাসীর ভালোবাসায় পরিবারসহ এখানে নড়াইলের (পাটনা) বসবাস শুরু করেন আশরাফ শেখের বাবা। প্রথমদিকে অন্যের বাড়িতে থাকতেন তারা। পরবর্তীতে পাটনার বাশার খানের কাছ থেকে ১১ শতক জমি কিনে ওই জমিতে টিনের ঘর তরি করে প্রায় এক বছর যাবত পরিবারের নয় সদস্যকে নিয়ে বসবাস করছেন। তবে সুখের ঘর হয়নি তাদের। এক বছরের ব্যবধানে ঘরে চারবার আগু’ন দিয়েছে দু’বৃর্ত্তরা। এর আগে আগুন নে’ভাতে সক্ষম হলেও এবার ঘরে কেউ না থাকায় পু’ড়ে ছা’ই হয়েছে। ক্ষ’তিগ্রস্থ আশরাফ শেখসহ তার পরিবারের সদস্যরা বলেন, একমাত্র থাকার ঘরটি পু’ড়ে যাওয়ায় আমরা নিঃ’স্ব হয়ে গেছি। এখন কোথায় মাথা গুজবো? কোনোদিন অন্যের বাড়িতে, কোনোদিন খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছি। এভাবে কতদিন থাকতে পারব। আমাদের মতো অসহায় মানুষের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। কোনো সহযোগিতা পায়নি। এ ব্যাপারে নড়াইলের পাটনা হাইস্কুল সংলগś জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ খাজা মিয়াসহ অনেকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টা’ন্তমূলক শা’স্তি দাবি করছি। নড়াইলের নড়াগাতি থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেনার দায়ে আশরাফ শেখ ঘরে আগু’ন দিয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এর আগে ঘরের লেপ-তোষকসহ অন্যান্য মালামাল অন্য বাড়িতে সরিয়ে দেয় তারা। এছাড়া আশরাফ শেখ অন্যত্র জমি কিনেছে পাটনা থেকে সরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। ওসির এ বক্তব্যের ব্যাপারে ভূ’ক্তভো’গী আশরাফ শেখ বলেন, দেনার দায়ে নিজের ঘরে কেন আগু’ন লাগাতে যাবো। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। অপরদিকে, এর আগে জেলার পুরুরিয়া গ্রামে দুই ভাইয়ের মারামারি অবশেষে দলীয় কোন্দলে পরিণত হওয়ায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১৫জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনা ঘটে। আহতদের নড়াইল সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করেনি। এলাকাবাসী জানান, নড়াইলের পুরুলিয়া গ্রামের সর্পরাজ শেখ ও তার ভাই সোহরাব শেখের মধ্যে পারিবারিক বিরোধে মারামারি হয়। এ মারামারিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য লক্ষীপুর গ্রামের কোবাদ মোল্যার সমর্থকেরা পুরুলিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা জাকাতুর ফকিকের সমর্থক রুকু ফকিরের বাড়িতে অর্তকিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এর জের ধরে দুইপক্ষের লোকজন লাঠি, ঢাল-সড়কিসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কোবাদ মোল্যার সমর্থক সর্পরাজ শেখসহ (৪২) উভয়পক্ষের এলাহি, রবিউল, হুমাউন, লিটন, ভুট্টো, আকসির, পারভেজসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়েছেন। এদিকে, সর্পরাজের ভাই সোহরাব শেখ কোনো পক্ষেই ছিলেন না। তবে গ্রাম্য মাতবźর কোবাদ মোল্যা পারিবারিক বিষয়কে ইস্যুকে করে কায়দা লুটার জন্য জাকাতুর সমর্থকদের ওপর এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নড়াইলের কালিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। এ পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করেনি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply