আবু বকর সিদ্দিক শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :
নিখোঁজের ২দিন পর বগুড়া শেরপুরের সূত্রাপুর থেকে ট্রলি চালক শহিদুল ইসলামের (৩৪) লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সূত্রাপুর ফুলজোড় নদীর ঘাটপাড় এলাকা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ হত্যাকাÐের সাথে পরকীয়া প্রেমের জেরে নিহতের স্ত্রী সালমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় আনে পুলিশ। পরকীয়া প্রেমিক শাহীন আলম পলাতক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর আখিরীপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম স্ত্রী সালমার সাথে একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে শাহীন আলমের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। এক পর্যায়ে কয়েকমাস পূর্বে পালিয়ে গিয়ে তারা বিয়ে করে এবং ২মাস সংসারও করে। তারপরেও সালমার পূর্বের স্বামী শহিদুল তাকে মেনে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকে। এরপরেও তাদের মধ্য পরকীয়ার সম্পর্ক অটুট থাকে। এনিয়ে প্রায়ই শহিদুল ও সালমার মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই প্রেক্ষিতে স্ত্রী সালমা গত দুইদিন আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহিদুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে কৌশলে নদী থেকে পানি আনতে পাঠায়। তারপর আর সে বাড়ি ফিরে আসেনি। এদিকে শহিদুল নিখোঁজের ২দিন পর ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ¯’ানীয় লোকজন ফুলজোড় নদীর সূত্রাপুর ঘাটপার এলাকায় শহিদুলের ব্যবহৃত লুঙ্গি ও গামছা দেখতে পায়। এতে তাদের সন্দেহ হলে নদীতে জাল নামিয়ে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে জালের সাথে লাশ উঠে আসে।
পরে ¯’ানীয়রা পুলিশে খবর দিলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা¯’লে গিয়ে লাশ উদ্ধারপূর্বক হত্যাকাÐের সাথে জড়িত সন্দেহে স্ত্রী সালমাকে আটক করে থানা আনে। এদিকে পরকীয়া প্রেমিক শাহিন আলমের চাচা হাফিজুর রহমান এই হত্যার ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য নিজে বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামা ৩জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযোগে উল্টো শাহিন আলমকেই হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এদিকে শহিদুলের লাশ উদ্ধার হওয়ার পরপরই শাহিন আলম পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। পলাতক শাহিন আলম বগুড়া শাহ সুলতান বিশ^বিদ্যালয় কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, লাশের খবর পেয়ে ঘটনা¯’ল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হত্যাকাÐের সাথে স্ত্রী সালমা জড়িত থাকতে পারে এমন অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর জানান, এ হত্যাকাÐের সাথে পরকীয়া প্রেমিক শাহিন ও নিহত শহিদুলের স্ত্রী আটক সালমা জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকারোক্তিতে জানা যায়। তবে প্রেমিক শাহিন পলাতক রয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ব্যাপক তৎপর রয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply