রাজশাহী প্রতিনিধি: নগরীর জাগো ফাউন্ডেশন রাজশাহী স্কুলে বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার স্কুল প্রাঙ্গণে এ বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
পিঠা উৎসবে কুসলি, পুলি, পাটিসাপটা, ডিম পিঠা, সূর্যমুখী,নকশা, পাকনসহ বিভিন্ন স্বাদ ও রকমের পিঠার মোট ১৪টি স্টল ছিলো। পিঠা উৎসব উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা,অভিভাবকদের আগমনে স্কুল প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। নেচে-গেয়ে, হই-হল্লা করে সকলে দিনটি পার করেন। শিশুদের আবৃতি, গান,নৃত্য ও চিত্রাঙ্কন পিঠা উৎসবে আসা অথিতিদের মুগ্ধ করে।
জাগো ফাউন্ডেশন রাজশাহী স্কুলের এডুকেশন কো-অরডিনেটর মো: জিহাদুল ইসলাম বলেন “যান্ত্রিক সভ্যতার এই ইট-কাঠের নগরীতে হারিয়ে যেতে বসেছে পিঠার ঐতিহ্য। সময়ের স্রোত গড়িয়ে লোকজ এই শিল্প আবহমান বাংলার অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠলেও এ যুগে সামাজিকতার ক্ষেত্রে পিঠার প্রচলন অনেকটাই কমে এসেছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে এই ঐতিহ্য ও হরেক রকমের পিঠার স্বাদ ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই আমাদের এই উৎসবের আয়োজন”।
উৎসবটির সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জাগো ফাউন্ডেশন রাজশাহী স্কুলের সিনিয়র প্রোজেক্ট অফিসার মো: ময়নুল ইসলাম এবং সিনিয়র কমিউনিটি অফিসার ফেরদৌস আরা লাবনী।
উল্লেখ্য, একটি বৈষম্যহীন শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক গতিকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ১২টি স্কুলের মাধ্যমে হাজার হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে বিনামূল্যে মানসম্মত শিক্ষা দেয়ার জন্য বিগত ১২ বছর ধরে জাগো নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাগো তাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে শিক্ষার আনুষঙ্গিক বিষয়াদি যেমন : বই,খাতা, স্কুল ড্রেস, জুতা, স্কুল ব্যাগ ইত্যাদি প্রদান করে সহায়তা করে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply