শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

ঠাকুরগাঁওয়ে আসন্ন ঈদুল আযহার কোরবানির গরু নিয়ে খামারিরা বিপাকে ।

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০
  • ৪৫৬ ভিউ টাইম

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ঠাকুরগাঁও জেলার গরু খামারিদের দুশ্চিন্তা ততই বাড়ছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ও গরু গুটি সংক্রমণ না কমায় তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পরেছে। খামারিরা গরু বাজারে নিতে পারবেন কিনা, বাজারে নিলেও ক্রেতা মিলবে কিনা, ক্রেতা মিললেও দাম সঠিক পাবেন কিনা এসব নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন গরু খামারিরা । আর এদিকে গরুর আবার লাম্পই ও গুটি রোগে ভুগছে খামারিরা। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ড, আব্দুর রহিম জানায়, এবার ঠাকুরগাঁও জেলায় গরুর খামার ১১হাজার ৭ শ ৮২টি আর গরুর সংখ্যা ৮০ হাজার ৪ শ ৫৯ টি আর কোরবানির যোগ্য প্রায় এসব গরু গুলো। আর গত বছর কোরবানিতে জবাই করা হয়েছিল অসংখ্য। এবার আবার বাজারে উঠবে অনেক গরু কিন্তু গুটি রোগ এবং লম্পিং যে রোগ দেখাগেছে তাতে ক্রেতা কম হতে পারে। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেলার অসংখ্য গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া খামারও গড়ে উঠেছে। গ্রামের বিধবা মহিলা বা সাধারণ কৃষক থেকে শুরু করে লাখ লাখ মানুষ গরু, ছাগল, ভেড়া পালন করেন। এখন অনেক শিক্ষিত যুবক ডেইরি ফার্ম ও গরু মোটা তাজাকরণকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। যে কারণে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বড় বড় গরু, ছাগলের খামার গড়ে উঠেছে। সারাবছর কসাইদের কাছে বিক্রির পাশাপাশি কিছু কিছু স্পেশাল গরু তৈরি করা হয় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নিশ্চিন্তপুর হ্যাডসের মোড় গরুর খামারি মাসুমা খানন (মিষ্টি) সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা নিয়ে তারা এখনো দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারেননি। মূলত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারাবছর গরু লালন-পালনে তারা বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন। তাই এখন গরু বিক্রি করতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন ঠাকুরগাঁও জেলার এই মাসুমা খানন (মিষ্টি) এবং গরু খামারিরা। মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সহিদুর রহমান খামারি বলেন, আমরা সারাবছর গরু মোটাতাজা করে কোরবানির ঈদের অপেক্ষায় থাকি। বড় ও দেখতে সুন্দর গরুগুলো কোরবানিতে১/২ লাখ টাকায় বিক্রির আশায় ভালো ভালো খাবার খাইয়ে লালন-পালনের পর যদি সেগুলো বিক্রি না হয় তাহলে আমাদের প্রচুর লস হবে। রায়পুর ইউনিয়নের ভাউলার হাট নাপিত পাড়া গরুর খামারি বিষ্ণু বলেন, আমার খামারের ষাঁড় বাচ্চাগুলোর মধ্যে যেগুলো দেখতে সুন্দর সেগুলো কোরবানির জন্য লালন-পালন করি। বাকিগুলো আগেই বিক্রি করে দিয়েছি। এবার তিনি ৫ টি গরু মোটাতাজা করেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, এত টাকা বিনিয়োগ করে যদি কোরবানির ঈদে দাম ভালো না পাই তাহলে আমাদের মতো খামারিদের দুঃখের সীমা থাকবে না। গরু পালন করতে গিয়ে অনেক লোন হয়েছে। ধার-দেনা করে কোরবানির আশায় গরু পালন করেছি। করোনার বর্তমান অবস্থায় এখন আতঙ্কের মধ্যে আছি। এক প্রশ্নের জবাবে করিম মিঞা বলেন, সারাবছর আমরা পরিশ্রম করে গরু পালন করি, কিন্তু আমরা বেশি লাভ করতে পারি না। কয়েক বছর ধরে ঢাকার বড় বড় ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে গরু কিনে অনলাইনে ছবি দিয়ে বিক্রি করে ফায়দা লোটে। তার মধ্যে এবার গো-খাদ্যের দাম অত্যধিক বেড়ে গেছে। এ কারণে গরু পালনে খরচও বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে অনেকেই গরুর হাটে আসবে না। তখন বাজার ফ্লপ করবে। এ অবস্থা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমার ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা লোকসান হবে। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ড, আব্দুর রহিম বলেন, এ বছরও আমাদের দেশে যে গরু আছে তা কোরবানির জন্য যথেষ্ট। দেশের বাইরে থেকে গরু আনার কোনো প্রয়োজন নেই। গত বছর অমাদের কোরবানির যোগ্য গরু ছিল প্রায় ১ লাখের উপরে।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888