নিজস্ব প্রতিবেদক, নিউজ ডেস্ক :
গতকাল বুধবার ২৯ জুন বগুড়া সোনাতলা সৈয়দ আহম্মেদ কলেজ বটতলায় সোনালী হাসি কমিউনিটি হসপিটাল এন্ড ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভূয়া চিকিৎসার প্রতিবাদে স্থানীয় সৈয়দ আহম্মদ কলেজ বটতলায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
সচেতন এলাকাবাসি ও জাগরণ রক্তদান সংঘ এর উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা করেন। এই মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগি ফারুক হোসেন মুকুল, স্থানীয় রেজাউল করিম সহ আরো অনেকে। মানববন্ধনে ভুক্তভোগি ফারুক হোসেন মুকুল বলেন, আমার পেট ব্যথা’র কারনে গত ১২জুন ২০২২ স্থানীয় সোনালী হাসি কমিউনিটি হসপিটাল এন্ড ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষ ও তথাকতিথ ডাক্তার হুমায়ন কবীর ইমরান এর নিকট যাই। তিনি তার হসপিটালে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করান ও রির্পোটে পিত্তথলিতে পাথর এবং তা ইনফেকশন হয়েছে বলে জানান। ফলে অপারেশন করতে কেবিন সহ মোট ৪০ হাজার টাকা লাগবে বলে চুক্তি করেন। সেই চুক্তি অনুযায়ী ১৩ জুন ২০২২ ইং তারিখে অপারেশন করার আগে অজ্ঞান করতে ইনজেকশন এর মাধমে পিছনে কোমরের উপরে ১০/১২বার ফোড় দিলে কাজ না হলেও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ওই দিন আর অপারেশন করা হয়নি।
এদিকে রোগী ফারুক হোসেন মুকুলের কিছুটা সন্দেহ হলে ১৮ জুন বগুড়া শহরের রেইনবো হসপিটাল এন্ড ডায়াগস্টিক সেন্টারে গিয়ে আবারো পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। সেখানে কোন সমস্যা ধরা না পরলে, সেই কারনে পরের দিন ১৯ জুন বগুড়া শহরে ইবনে সিনা, ২০ জুন পপুলার ডায়াগস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন কোন প্রকার সমস্যা নেই। এমন ভূয়া চিকিৎসার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের শাস্তি দাবী করা হয়। এ বিষয়ে সোনালী হাসি কমিউনিটি হসপিটাল এন্ড ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষে হুমায়ন কবীর ইমরান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা অস্বীকার করেন। সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রওনক জাহান জানান, আমি স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেয়েছি। ঘটনাস্থল গাবতলী ও সোনাতলা উপজেলার সীমানায় হওয়ায় আমরা সার্বিক ঘটনা খতিয়ে দেখে তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, হুমায়ন কবীর ইমরান ও তার স্ত্রী গাবতলী উপজেলার অর্ন্তগত তাদের সোনালী হাসি হসপিটাল থেকে প্রায় ৫ শত গজ দুরে সরকারী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকুরী করেন। এখানেও তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply