রুবেল মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার
রংপুর নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে কাউন্সিলরের স্বীদ্ধান্ত অমান্য করে গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জগদীশপুর সর্দার পাড়া এলাকায় সেকেন্দার আলীর পুত্র মঞ্জরুলের সাথে আলাউদ্দীনের পৈত্রিক সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ চলছিলো। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় কাউন্সিলর লাইকুল রহমান নাজু বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করে জড়িমানাও করেন। এবং সিটিকোর্পোরেশনের আমিন এনে জমি মেপে সীমানা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত দু’পক্ষকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার স্বীদ্ধান্তের কথা জানান কাউন্সিলর। বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত ১৯ জুন সকালে সাত-বছর আগে আলাউদ্দীনের লাগানো ৪০ টি গাছ ও বাঁশঝার কেটে ফেলে প্রতিপক্ষ মঞ্জুরুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। কালক্ষেপনের সুযোগ নিয়ে উল্টো আলাউদ্দিনের নামে একটি মামলা করেন,যাহার সিআর নং-৪৫/২২ জিআর নং- ৬২/২২, উভয়ের পক্ষে মধ্যে মিমাংসা করার পরেও আন্যায় ভাবে গাছ কাটে জমি দখল ও মামলা দিয়ে আলাউদ্দিনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আলাউদ্দীনের সহধর্মিণী জানায়, গত ১৯ জুন কাউন্সিলরের নির্দেশ অমান্য করে প্রতিপক্ষ মঞ্জুরুল সুযোগ বুঝে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গিয়ে আলাউদ্দীনদের জমিতে লাগানো ৪০ টি গাছ ও বাঁশঝাড়ের বাঁশ কেটে ফেলেন। পরে গাছ কাটার ঘটনা হাজিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ দায়েরের পরও আলাউদ্দীনের বসতবাড়িতে মধ্যরাতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মারধরের হুমকি দেয়ায় থানায় কাউন্সিলরের সহায়তায় মামলা করতে যান আলাউদ্দীনের সহধর্মিণী। এসময় কাউন্সিলর মামলা দায়েরের কথা বলে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে সাতহাজার টাকা নেন থানায় দেয়ার কথা উল্লেখ করে। আলাউদ্দিনের সহধর্মিণী গত ২৫ জুন তারিখে জানতে পারে যে তার অভিযোগটিকে আমলে নেয়া হয়নি । সেই মর্মে গত ২৭ জুন আলাউদ্দীনের সহধর্মিণী থানায় গিয়ে অভিযোগটির মামলা এন্ট্রি করার জন্য ওসি মহদয়ের সরনাপন্ন হলে,ওসি মহদয় এ এস আই মন্জুরুলকে উক্ত অভিযোগটি জিডি স্বরুপ এন্ট্রি করতে বলেন ৷এমন সময় এ এস আই মন্জুরুল জানান ওনার জিডি হয়ে গেছে, জিডি নং চাইলে দীর্ঘ সময় পার করার পরেও না দিলে , বিষয়টি ওসি মহদয়কে আবাও অবগত করলে ওসি এ এস আই কে দ্রুত জিডি নং দিতে বলেন,তিনি জিডি নং-৯০০,২৬ জুন লিখে দিলেও ভুক্তভোগী পাননি এখনো জিডির কপি বলেন।
প্রতিপক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন কাউন্সিলর মিমাংসা করে জরিমানা স্বরুপ ৫০০০(পাঁচ হাজার) টাকা আমার মেয়ে জামাই হাসেম আলীকে চিকিৎসা বাবদ বুঝিয়ে দিলেও ,উভয়ের জমির সিমানা নির্ধারণ করার কথা থাকলেও বারবার সময় নেওয়া।ওনাকে চাপ দিলে (ওয়ার্ড কাউন্সিলর) গাছ কেটে জমি দখল করতে বলেন।
১০ নং ওয়াড কাউন্সিলর লাইকুল রহমান নাজু বলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ ওনার উপস্থিতিতে গত ২৭ জুন উভয়ই পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। আলাউদ্দিনের (পাঁচ )হাজার টাকা জরিমানা করে হাসেম আলীকে চিকিৎসা বাবদ বুঝিয়ে দেয়।এবং সিটি কর্পোরেশনের আমিন এনে উভয়ের দখলীয় জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিবেন। আরোও বলেন মন্জুরুলকে গাছ কাটার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি মিথ্যে ও বানোয়াট। ভুক্তভোগী পরিবারের টাকা নিয়ে থানায় দেয়ার বিষয়টি মামলার অয়ুকে চা খাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
হাজীরহাট থানা মেট্রোঃ ওসি মহদয়ের বলেন একটি অভিযোগ আমাদের কাছে আাছে,কিন্তুু কাউন্সিলর উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে মিমাংসার কথা চলোমান রয়েছে , তবে বাদী চাইলে তাদের উপর আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply