মিলন হোসেন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলায় জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিপক্ষের মারপিটে ১ জন নারীসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। সোমবার ১১ জুলাই সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের সরকার পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক।
আহতরা হলেন, উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের সরকার পাড়ার আলমগীর সরকার, জাহাঙ্গীর আলম, হালিমা বেগম,আপেল, পিয়াস, আব্দুর রশিদ, আইয়ুব হোসেন, মোছাঃ জুলেখা বেগম এবং শাফিন।
কিন্তু হালিমা ও আপেলের অবস্থা আশংকাজনক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের সরকার পাড়ার মৃত মোফাজ্জল হোসেন সরকারের ছেলে মোঃ মোস্তাফিজার রহমান সরকার এর বসতবাড়ির দক্ষিণপাশে ৩০ শতাংশের একটি পুকুর নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে দীর্ঘদিনের ঝগড়া ছিল। পুকুরটির ১১ শতাংশের মালিক মোস্তাফিজারসহ তার ৫ ভাই। অবশিষ্ট অংশের মালিক অভিযোগের বিবাদীরা। বিবাদীগণ জোরপূর্বক উক্ত পুকুর দীর্ঘদিন যাবৎ জবর দখল করে ভোগ দখল করে আসছে। উক্ত পুকুরের মালিকানার বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার ১১ জুলাই দুপুরে প্রতিপক্ষের লোকজন হাতে লাঠি, রামদা, দেশীয় অস্ত্রসহ বসতবাড়ির মহড়া দিতে থাকে। ওই সময় মোস্তাফিজারের ভাতিজা মোঃ আলমগীর মাঠে ছাগল বাঁধতে গেলে সকল আসামীরা তার পথ রোধ করে দাঁড়ায় এবং লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আলমগীরের ডান হাত ভেঙ্গে যায়। আহত আলমগীরকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে গেলে আসামীরা এলোপাথারী ভাবে মোস্তাফিজারের লোকজনকে মারপিট করে। মোস্তাফিজারের লোকজনকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আসামীরা।
পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় আহতদের সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আমিনুর রহমান জানান, অজ্ঞাতসহ ১৮ জন আসামী করে অভিযোগ টি জিআর মামলা হয়েছে। তবে, তাদের মধ্যে ২জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীরা পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply