মিলন হোসেন, নিজেস্ব প্রতিনিধি : বগুড়া লাহিড়ী পাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জেরে বাড়ী ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
বগুড়া সদরের লাগিড়ীপাড়া ইউনিয়নে জমি জমা সংক্রান্ত জেরে বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট ও ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা চুরি, থানায় অভিযোগ,ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীও জানান পরিবারটি।
বগুড়া সদর থানার অভিযোগ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় সদরের লাহিড়ীপাড়া গ্রামের ( ভবানীগঞ্জ সংলগ্ন) মনজুর বিদেশ ফেরৎ পুত্র হোসেনের পরিবার প্রায় ৩০/৩৫ বছর পূর্বে একই এলাকার মৃণাল কান্তির নিকট থেকে ৬৫৪ দাগের ৫ শতাংশ জমি ( অনেেক পূর্বে ক্রয় করে পরবর্তীতে দলিল করে যার দলিল নং ৪৪৫২ তাং ২৭/৩/০৬) ক্রয় করে বাড়ী ঘর নির্মান করে বসবাস করে।
তার বাড়ীর দক্ষিণ পাশে যাতায়াতের রাস্তা দিয়ে তারা যাতায়াত করে। রাস্তার জায়গাটি একই এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর পুত্র হেলাল তার নিজের বলে দাবী করে জোর পূর্বক সম্পূর্ণ রাস্তাটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে দল বল নিয়ে হোসেনের বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে বাড়ী ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে লুটপাট করে, হোসেনের বিদেশ যাওয়ার জন্য ঘরে রাখা ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হেলাল গংরা চুরি করে নিয়ে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্থ হোসেন ও তার স্ত্রী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান।
সে আরও জানায় এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে মামলা চলমান, তার নিষ্পত্তি না হওয়াই তারা জমিটি জবর দখল করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
এব্যাপারে হেলালের সাথে কথা বললে তিনি জানান, হোসেন যার নিকট থেকে জমি ক্রয় করেছে, আমিও তার নিকট থেকে হাফ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি, ওদের জমি আমরা দখল করিনি, আমাদের জায়গা আমরাই বন্ধ করেছি।
লাহিড়ীপাড়া ইইপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আপেল মাহমুদের সাথে কথা বললে তিনি জানান,
বিষয়টি নিয়ে আমার পরিষদের গ্রাম আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না, যারা রাস্তা বন্ধ করেছে তারা ভুল করেছে। আর হোসেন মঙ্গলবারে আমিন নিয়ে এসে পরিষদের প্রতিনিধি সহ জমি মাপার কথা থাকলেও সে আমাদেরকে না জানিয়ে সোমবারে আমিন নিয়ে এসে জমি মেপেছে, এটা সে ঠিক করেনি। আমার জানা মতে ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয় ঠিক নয়। মামলা যেহেতু চলমান, জমির বিষয়টি কাগজপত্র দেখেই সমাধান হবে।
এবিষয়ে মনজুর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
বিবাদীরা হলেন,
১ নং মোঃ হামিদুল (৩৮) পিতাঃ মরজান আলী,
২ নং মোঃ ভুটু (৩৫) পিতাঃ মৃত সোনা মিয়া,
৩ নং জাহিদুল (২৮) পিতাঃ মোঃ শাহিদুল,
৪ নং মোঃ দুলহ মিয়া (৫৫) পিতাঃ মৃত জব্বার,
মোঃ রতন (২৭) পিতাঃ মোঃ রজ্জাক,
৬ নং রাজ্জাক (৫৫) পিতাঃ অজ্ঞাত,
৭ নং মোছাঃ হেলেনা বেগম,(৬৫) স্বামী মৃত সোনা মিয়া,
৮ নং মোছাঃ আরজেনা বেগম, স্বামী মোঃ ভুট্টা,
৯ নং বেলজার, পিতাঃ মোঃ ঠান্ডা মিয়া, ১০ নং মিষ্টার, পিতাঃ মৃত সুকট্টা।
তবে, ভুক্তভোগীর পরিবার বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply