জাতীয় সংসদের ৪১, বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ (জিএম সিরাজ) ও ৩৯, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে মোশারফ হোসেন পদত্যাগ করায় আসন দুইটি শূন্য ঘোষণা করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।

এ কারণে বগুড়ার দুটি আসনে উপনির্বাচনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। মাঠে নেমে পড়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। যদিও উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়নি, তবুও বসে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এবং জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় নানাভাবে চেষ্টা তদবির শুরু করেছেন। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নানাভাবে নিজেদের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

বিএনপির ঘাঁটি নামে পরিচিত বগুড়ার নির্বাচনী মাঠে যেহেতু বিএনপি থাকছে না, সে কারণে দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয় নিশ্চিত- এমনটা ভাবছেন অনেকেই।

এখন পর্যন্ত সদর আসনে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, ২০১৯ সালের উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী টি জামান নিকেতা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিনের পুত্র জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলন, জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি ও সাবেক সাংসদ নূরুল ইসলাম ওমর, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজ আহম্মেদ রুবেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দসহ অনেকে।

বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনোনয়ন চাইবেন বলে আলোচনা উঠেছে। তারা হলেন, কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা, নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মনছুর রহমান মুন্নু, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক আহসানুল হক ও তৌহিদুল করিম কল্লোল।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল ফারুক ও রওশন এরশাদপন্থী বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব ও রাজশাহী বিভাগীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুস সালাম বাবু নির্বাচন করতে মাঠে নেমে পড়েছেন।

তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন কবিরাজ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে মনোনয়ন চেয়ে নিজের একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করেছেন।

নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা জানিয়েছেন, তিনি মনোনয়নের জন্য আবেদন করবেন। অন্যরাও একই কথা বলেছেন।

ওই আসনে জাসদের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেনও তার দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন। তিনি এর আগে ২০১৪ সালে ওই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন মোস্তফা ফারুক দাবি করেছেন, বগুড়া-৪ আসনে দলের পক্ষ থেকে তাকে আগাম মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক এমপি ও জাসদের জেলা সভাপতি একেএম রেজাউল করিম তানসেন, আব্দুস সালাম বাবু বলেছেন, তারা উপ-নির্বাচনে অংশ নেবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক নুরনবী রহমান।