বার্তা সম্পাদক : বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার মহাউৎসব চলছে । মাঝেমধ্যে প্রশাসনিক অভিযানে জরিমানা করা হলেও থেমে নেই এই মাটি কাটার এবং মাটি বিক্রির মহাউৎসব। উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে মাটি খেকোরা যেনো দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাহলে কি ধরে নেয়া যায়, প্রশাসনের আইনের ক্ষমতার চেয়ে এই মাটি খেকোদের ক্ষমতাই বেশি ?
মঙ্গলবার ৩রা জানুয়ারি দুপচাঁচিয়া উপজেলায় সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্সেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে আবাদি জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে এবং সেই মাটি বিক্রিও করা হচ্ছে। প্রতিটি মাটি কাটার পয়েন্টে ৮ থেকে ১০ টি মাটি বহনের ট্রলার গাড়ি নিয়মিত চলছে।
উপজেলার গুনাহার ইউনিয়ন, চামরুল ইউনিয়ন, সদর ইউনিয়ন সহ ৮ থেকে ৯টি জায়গায় এই ফসলি জমি নষ্ট করে এক্সকিভিটার মেশিন (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি কাটা চলছে । তবে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম আলোহালি গ্রামে যে মাটির পয়েন্ট চলছে সেটা নাকি প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতার। সেজন্য অন্যান্য মাটির পয়েন্টের মত এই পয়েন্টও দিনের বেলাতেও হরহামেশাই চলছে। বাধাঁ দেয়ার মত নাকি কেউ নেই । সবগুলো মাটির পয়েন্টের সামনের পাকা কিংবা কাঁচা রাস্তা এবং সিমেন্ট দিয়ে সোলিং করা রাস্তা পর্যন্ত ভেঙে যাচ্ছে এবং মাটি নিয়ে যাবার সময় কিছু মাটি রাস্তায় পড়ে যাচ্ছে। সে মাটিগুলো পরবর্তীতে পাঁকা রাস্তায় পিচ্ছিল ভাব হচ্ছে। এই পিচ্ছিল মাটির উপরে যখন রিস্কা, ভ্যান, মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহনের গাড়ির চাকা পড়ছে তখন গাড়িগুলো দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, “আমাদের সরিষা এবং আলু ক্ষেতের উপর দিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছে দিনরাত। আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু কাকে বলব ভাই এসব কথা। কে শুনবে। এই মাটি আলারা যারা আসে এখানে তাদের সবাইকে টাকা দিয়ে এগুলো ম্যানেজ করছে।
মাঝেমধ্যে প্রশাসনের লোকজন এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে মাটির লোকজন গিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসে আবারো মাটিকাটা শুরু করে”। স্থানীয় লোকজন কিছু বললে মাটি খেকোরা নাকি তাদের নানা রকম ভয়ভীতি দেখায় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমন জিহাদীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, “এই মাটি কাটার স্পট গুলোতে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এই মাটি ব্যবসায়ীরা যে আবারো চুরি করে মাটি কাটছে এই বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিয়ে খুব দ্রুত মাটির স্পর্ট গুলো যেনো বন্ধ করে দেয়া যায় সেই বিষয়ে আমরা আইনি কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি”।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply