ল্যাংড়া আম গাছ থেকে পেড়ে বাজারজাত শুরুর জন্য ৬ জুন তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রশাসন। তবে ঢাকার বাজারে কয়েকদিন আগে থেকেই মিলছে এই আম। বাইরে থেকে দেখতে এসব আম পাকা বলেই মনে হয়। তবে কাটার পর দেখা গেল, ফলটির মাংসল অংশ হলুদ হলেও আঁটি কাঁচাই রয়ে গেছে।
শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন আমের আড়তে গিয়ে এমন চিত্র দেখতে পান র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা এবং রাসায়নিকে পাকানো দুই হাজার কেজি আম জব্দের পর ধ্বংস করা হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, আম রাসায়নিক দিয়ে পাকানোর ফলে বাইরে পাকা দেখালেও তা আসলে খাওয়ার উপযোগী হয়নি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় নির্ধারিত সময়ের আগেই আম পেড়ে বাজারে আনছেন। রাসায়নিকে পাকানো এসব আম মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এসব খেলে নানারকম জটিল অসুখ হতে পারে। তাছাড়াও অপরিপক্ক হওয়ায় এগুলো খেতেও তেমন ভালো নয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাজারে এখন শুধু গুটি আম থাকার কথা। অন্যান্য জাতের আম আসবে আরও কিছুদিন পর। তবে ল্যাংড়া ও হিমসাগর এখনই বিক্রি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সকালে মিরপুরের দিয়াবাড়ী এলাকার আড়তে অভিযান চালায় র্যাব-৪। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চালানো অভিযানে ছয়টি আড়ত থেকে বিপুল পরিমাণ আম জব্দ করা হয়। পরীক্ষায় এসব আমে রাসায়নিকের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে। পরে জব্দ করা আমগুলো ধ্বংস করা হয়।
এর আগে গত বুধবার যাত্রাবাড়ীর আমের আড়তে অভিযান চালিয়ে রাসায়নিকে পাকানো ৪০০ মণ আম জব্দের পর ধ্বংস করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন ব্যবসায়ীরা দাবি করেছিলেন, বাগান মালিকদের চাপাচাপিতে তারা আম কিনে এনে দেখেন সবই কাঁচা। তাই রাসায়নিক মিশিয়ে কৃত্রিমভাবে পাকানোর ব্যবস্থা করেছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply