মোঃসরোয়ার ঝিনাইগাতী(শেরপুর)প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডা:মায়াহোড় এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) গাইনী বিশেষজ্ঞ এর বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা করে ভুল সিজার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । সিজারের মাধ্যমে রোগীকে মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগ এনে শেরপুর সিভিল সার্জনের বরাবর গত ২৬/২/২৩ ইং তারিখে এক লিখিত অভিযোগ দ্বায়ের করেছেন ভূক্তভোগী উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের গিলাগাছা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন । অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন শেরপুর ডা: রবিউল ইসলাম সিনি:কন:(সার্জারী) জেলা হাসপাতাল শেরপুরকে সভাপতি ,ডা: আলাউদ্দিন জুনি:কন:(এ্যানেস) জেলা হাসপাতাল সদস্য ও ডা: হাসিনাতুল ফেরদৌস লোপা জুনি:কন:(গাইনী)কে সদস্য সচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন । কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলেও তা অতিবাহিত হয়ে আজও কোন আলোর মুখ দেখেনি ভূক্তভোগী রহুল আমিন । অভিযোগে প্রকাশ রহুল আমিনের স্ত্রী গর্ভবতী আকলিমাকে ২৫/৯/২০২২ইং তারিখে সকাল ৯ টার সময় ডা: মায়াহোড় ঝিনাইগাতী হাসপাতালে সিজার করেন । সিজার চলাকালিন সময়ে ডা:মায়াহোড় তার কর্তব্য কাজে চরম অবহেলা ও উদাসিনতা প্রদর্শন পূর্বক ভিতরের সেলাই ফঁাকা রেখে বাহিরে সেলাই করে যার ফলে ব্লিডিং চলা অবস্থায় চিকিৎসা পত্র দিয়ে ১/১০/২০২২ ইং তারিখে ছাড়পত্র প্রদান করে । বাড়িতে রোগীর ব্যথা এবং বিল্ডিং ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পুনরায় ১৩/১০/২২ ইং তারিখে ডা: মায়াহোড়ের শরণাপন্ন হলে তিনি কোন ব্যবস্থাপত্র এবং ঔষধ না দিয়ে বলেন এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে বলে খারাপ আচড়ন করেন । রোগীর জরায়ুতে প্রচন্ড ব্যথা ও একাধারে ব্লিডিং হয়ে বিছানাপত্র ভাসিয়ে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়েলে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে রক্ত ভরলে রোগীর জ্ঞান ফিরে । পরে ডা: লুৎফরের নিকট কিছুদিন চিকিৎসা গ্রহণ করে রোগ নিয়ন্ত্রনে আসলে রোগীকে আবার বাড়ি নিয়ে যায় । আবার রোগীর অবস্থা বেগতিক হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগ করে গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: কামরুন্নাহার পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্রে সম্পূর্ণ তলাপেট আল্ট্রা-সনোগ্রাম করার জন্যে রেফার করেন । পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে সিজারের ভিতরের সেলাই ফাঁকা আছে বলে ইনফেকশন হয়ে পচন ধরেছে এবং উহাতে শূণ্য গর্ত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন । রোগীর জীবন রক্ষার্থে জরায়ু কেটে ফেলতে রাজি হয়ে একটি ডাক্তারের বোর্ড গঠন করে অপরেশন সম্পন্ন করেন ময়মনসিংহে । ভুল সিজারের কারণে রহুল আমিন এ পর্যন্ত ৪/৫লাখ টাকা চিকিৎসা ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে । রোগী বাড়িতে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে জীবনযাপন করছেন তার বিচার চেয়ে অভিযোগ দ্বায়ের করেছেন এখনও আলোর মুখ দেখেনি । এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন অনুপম ভট্রাচার্য আজ বলেন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাজীব সাহা বলেন কাগজ হাতে পেয়েছি তদন্ত কমিটি হয়েছে তদন্তর আগে কথা বলা ঠিক হবে না । অভিযুক্ত ডা: মায়াহোড়ের সাথে আজ যোগোযোগ করা হলে তিনি বলেন অনেক সিজার করেছি দু একটি হতেই পারে । রোগী আমার নিকট পূনরায় চিকিৎসা নিতে আসেনি । তদন্ত কমিটি হয়েছে আমি দেখা যাক বিষয়টি কোথায় দ্বারায় । আপনারা সঠিক তথ্য লেখতে পারেন বলে জানান । অভিযোগকারী রুহুল আমিন জানান আমার স্ত্রীকে সিজার করে ভিতরে সেলাই ফাঁকা রাখায় আমি নিস্ব হয়ে গেছি । ডা: মায়াহোড়ের নিকট পুণরায় গেলে আমার সাথে খারাপ আচড়ন করে আমি তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করছি ।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply