মিলন হোসেন, বার্তা সম্পাদক : ” রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” তার-ই ধারাবাহিকতায় ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ঈদকে ঘিরে বগুড়ার মার্কেট গুলোতে জমে উঠেছে কেনা-কাটা। সব বয়সের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন শহরের ছোট বড় বিভিন্ন মার্কেটে।
ঈদে উচ্চবিত্তরা ছুটছেন জলেশ্বরীতলার শোরুম গুলোতে, মধ্যবিত্তরা নিউমার্কেট ও নবাববাড়ীতে আর স্বল্প আয়ের ক্রেতারা ছুটছেন বগুড়ার হর্কাস মার্কেটে। এছাড়াও জুতার দোকানগুলোতে তো ভীড় করছেন ক্রেতারা।
বগুড়া শহরের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, জামা কাপড়ের মধ্যে এবার নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে নায়রা। এরপর সায়রা ও অরগাঞ্জা। দেশী এবং ভারতের প্রতি পিচ নায়রা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও দেশীয় কাপড়ের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের হরেক নামে বিক্রি হচ্ছে বাহারি পোশাক। শহরের সব মার্কেটেই বিক্রি করা হচ্ছে নায়রা। নিউ মার্কেটের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে বাহারি রকমের শাড়ী। জলেশ্বরীতলা অভিজাত বিপনীতে বিক্রি হচ্ছে ছেলেদের পাঞ্চাবী, প্যান্ট-শার্ট, টি শার্ট, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নতুন ডিজাইনের পোশাক।
দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের ভীড় ততই বাড়ছে। মার্কেটগুলো সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতারে উপচে পড়া ভীড়। ঈদ উপলক্ষে শপিং মল এবং মার্কেটগুলোতে আকর্ষনীয় ভাবে সাজানো হয়েছে।
তবে, শপিং মলসহ শহরের কোথাও যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য জেলা পুলিশ শুক্র থেকেই ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা প্রদান করে আসছে।
এদিকে, বগুড়া শহরের নিউ মার্কেট, জলেশ্বরীতলা, রানার প্লাজা, পুলিশ প্লাজা, আলতাফ আলী মার্কেট, আলামিন কমপ্লেক্স, হকার্স মার্কেট এবং অস্থায়ী হকার্স মার্কেটগুলোতে শুরু হয়েছে ঈদের কেনা কাটা। ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিক্রেতারা জানান, এবারের ঈদ বাজারে নারীদের নতুন পোশাক নায়রা, সায়রা এবং অরগাঞ্জা। এছাড়াও বরাবরের মত উন্নত মানের থাই, চাইনিজ, লেহেঙ্গা, থ্রি-পিচ, টপস, ওয়ান পিচসহ দেশীও মানের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। বিলাসী ছেজলে-মেয়েরা এমনকি তাদের অভিভাবকরাও এসব দোকানে ভীড় জমাচ্ছে।
ঠিক একই ভাবে কসমেটিকস্ দোকান গুলোতে মেয়েদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ব্রান্ডের মেহেদীর চাহিদাই বেশী।
বরাবরের মতো এবারও প্রথম শ্রেণীর ক্রেতাদের মূল টার্গেট হচ্ছে রানার প্লাজা, ও জলেশ্বরীতলা এলাকার বিপনী বিতানগুলোতে। অপর দিকে সস্তা মার্কেট হিসেবে পরিচিত হকার্স মার্কেট। এখানে অনেকটা সস্তায় কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। এই মার্কেটে সস্তায় থাই, চাইনিজ বা দেশীয় কাপড় বিক্রি হচ্ছে। আর সে জন্য ধনী-গরীব সকলেই এইসব মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের আয়োজনে শহরের শহীদ খোকন পার্কে অস্থায়ী হকার্স মার্কেট বসানো হয়েছে। সেখানেও ঈদের কেনা-কাটা চলছে।
শহরের রানা প্লাজার কিছু ব্যবসায়ী সাথে কথা বলে জানা যায়, জামাকাপড়ের মধ্যে এবার নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে নায়রা, সায়রা এবং অরগাঞ্জা। এছাড়াও রয়েছে লেহেঙ্গা, থ্রি-পিচ, টপস, ওয়ান পিচসহ দেশী ও ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের পোশাক। দেশী ও এবং ভারতীয় প্রতি পিচ নায়রা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত। বেচা-কেনা বেড়েছে। ক্রেতারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী ঈদের কেনাকাটা করছেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) স্নিগ্ধ আখতার জানান, শপিং মলসহ শহরের কোথাও যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য জেলা পুলিশ ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা প্রদান শুরু করেছে। জেলা শহর সহ জেলার ১২টি উপজেলার জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করতে পারেন সেজন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
বগুড়া শহরের সাতমাথা, থানা মোড়, সেলিম হোটেলের সামনে, জলেশ্বরীতলা, চেলোপাড়া, নিউ মার্কেট, রানা প্লাজা, নবাববাড়ী সড়ক এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। লিচুতলা থেকে মাটিডালি পর্যন্ত ঈদে সাধারণ মানুষ যেন সহজেই ঘরে ফিরতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা সহ যানজট নিরসনে ২৪ ঘন্টা পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply