মিলন হোসেন, বার্তা সম্পাদক : বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নে ঘরের জানালার গ্রীল কেটে স্কুল ছাত্রীকে অচেতন করে অপহরণ করে এবং ধর্ষণ করে।
থানা অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদিঘি পশ্চিমপাড়া গ্রামের দরিদ্র কাঠ মিস্ত্রি বাবলু মিয়ার কন্যা (১৪) হাজরাদিঘি স্কুল এন্ড কলেজে ১০ম শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। স্কুলে যাওয়ার পথে একই এলাকার মৃত আনিছার রহমানের বিবাহিত পুত্র পিয়াস (২৫) তাকে মাঝে মধ্যেই বিরক্ত করত।
তবে, বিষয়টি বাবলুর মেয়ে তার পরিবারকে জানালে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে। এতে রাগান্বিত হয়ে পিয়াস মেয়েটির ক্ষতি সাধন করার জন্য তার ৪/৫ জন বন্ধু বান্ধবকে নিয়ে ২২/৪/২৩ ইং তারিখ রবিবার রাত অনুমান ১০ টায় বাবলুর মেয়ের শয়ন ঘরের জানালার গ্রীল ভেঙ্গে মেয়েটিকে অচেতন করে বাড়ীর বাহিরে নিয়ে যায়। পরের দিন সকালে তার পরিবারের লোকজন তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে এবং জানালার গ্রীল ভাঙ্গা দেখে তাদের সন্দেহ হয় তাদের মেয়েকে কে বা কারা অপহরণ করেছে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তারা বিষয়টি দেখবে বলে জানায়।
অনেক খোজাখুজির পর মঙ্গলবার সুকৌশলে পিয়াসের ফোন থেকে মেয়েটি তার পরিবারকে বগুড়া দত্তবাড়ী এলাকার কথা বললে তারা সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে এলে সে জানায় পিয়াস গোপন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে বাবলু সদর থানায় পিয়াসসহ ৪/৫ জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ পিয়াসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ভিকটিমকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়াস স্টপ ক্রাইসিসি সেন্টারে (ওসিসি) মেডিকেল স্টেষ্টের জন্য রাখা হয়েছে।
এই ধর্ষনের ঘটনায় জড়িত অন্যান্য দের আটক করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে ভূক্তভোগীর পরিবার।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply