মোঃ সরোয়ার শেরপুর ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি :
ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবৈধ নিয়োগ বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাঁদিকে ছুরিদিয়ে আঘাত করল বিবাদি,
শেরপুরে জেলা জজ কোর্টের সামনে বিবাদীদের ছুরিকাঘাতে আঃ রাজ্জাক (৪৫)নামে মামলার বাদী আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২১সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১ঘটিকার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত আঃ রাজ্জাক ঝিনাইগাতী উপজেলার চাপাঝুড়া গ্রামের মৃত সরাফত আলীর ছেলে। এ বিষয়ে আহত আঃ রাজ্জাকের ছেলে মো. হারুন মিয়া বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ে মামলা করেছেন।
দায়ের করা মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ২০২১ সালে ১নং আসামী মো. শাহাজ উদ্দিন সাজু ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাবস্থায় এবং আঃ রাজ্জাক উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য থাকাবস্থায় প্রধান শিক্ষক শাহাজ উদ্দিন সাজু দুপুরিয়া গ্রামের বাদশা’র ছেলে বাবুল মিয়া এবং বাগেরভিটা গ্রামের হাজী আঃ হকের ছেলে মোশারফ হোসেনকে নিয়ম বর্হিরভুত ভাবে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অত্র বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী ও পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। উক্ত নিয়োগটি অবৈধ হিসেবে সাবেক অভিভাবক সদস্য/২০১৯ এর আঃ রাজাক, মো. রিয়াজ উদ্দিন, মো. হামিদুর রহমান বাদী হয়ে সহকারী জজ আদালত, ঝিনাইগাতী, শেরপুর, মোকাদ্দমা নং- ২৪০/২১, অন্য প্রকার মোকাদ্দমা দায়ের করে। উক্ত মামলা দায়ের করার পর হতে আসামীগন আঃ রাজ্জাক সহ মামলার বাদীদের সাথে চরম শত্রুতা পোষন করা সহ। খুন জখমের সময় ও সুযোগ খোঁজতে থাকে।
ঘটনার দিন আঃ রাজ্জাক উক্ত মামলায় বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত, শেরপুর সিভিল রিভিশন নং- ১১ /২০২৩ এর জবাব শেষে
বাদী, অজ্ঞাতনামা সিএনজি চালকের সিএনজি যোগে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়র সময় ।
বুকের বাম পাশে স্বজোরে ছুরী মেরে গুরুতর ছিদ্রযুক্ত জখম করে। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আসামীরা পালিয়ে যায়। কিছু দোকানপাট বা জনমানুষের সামনে ঘটনাটি ঘটলেও
তাৎক্ষণাৎ ভাবে কেউ হামলাকারী কে আটকাতে পারে নাই, আব্দুর রাজ্জাক অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে
ভুক্তভোগী এখন গুরুতর অবস্থায়, বর্তমান মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক জানান ধানশাইল সাবেক প্রধান হেড মাস্টার সাহাজ জদ্দিন সাজু এই ঘটনাটি স্বয়ং বাবুলের মাধ্যমে ঘটাইছে।
বাদি মামলা করার আগেই জানা যায় যে, টাকার বিনিময়ে তার নিজ বাড়িতে সাংবাদিক দুদু মল্লিকের facebook পেজ থেকে বিবৃতি দেয় এবং এই ঘটনাটি সাজানো নাটক বলে সাহাজ উদ্দিন সাজু জানান, এবং নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও
বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে এবং ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয়র বর্তমান প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলমের কাছে জানা যায়, সাবেক প্রধান শিক্ষক সাহাজউদ্দিন সাজু দুটি পোস্টে চাকরি দিবে বলে দুইজনের কাছ থেকে মোট ষোল লাখ টাকা নেয়, দুই বছর আগে সে অবসরে গেলেও মামলাটিতে যদি জিততে পারলে টাকা গুলো ফেরত দিতে হবে না । নচেৎ দুই ব্যক্তির টাকা ফেরত দিতে হবে, সেই সূত্রপাতে, অবৈধ নিয়োগ মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাককে সাহাজ উদ্দিন সাজু বিভিন্নভাবে মারার পরিকল্পনা ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে ভুক্তভোগী জানায়।
বর্তমান প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, আমার কাছেও অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, বিভিন্ন চাপে আমি কিছুই বলতে পারিনি এবং কাউকে বলতে পারিনি , আমার চাকরি খেয়ে ফেলবে , আমাকে প্রধান শিক্ষক দিবে, কিন্তু সে প্রধান শিক্ষক দেয় নাই । আমি আমার দক্ষতা এবং যোগ্যতার মাধ্যমে আমার প্রধান শিক্ষক পথটি আমি ফিরে পেয়েছি । তিনি আরো জানান গোলাপ মাস্টার এর কাছ থেকেও এসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার দিবে বলে শাহাজদউদ্দিন সাজু অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মানুষের কাছে শুনতে পাই, প্রায় তিন থেকে চারটি পরিবার সাবেক হেডমাস্টারের জন্য নিঃস্ব হয়ে গেছে।
সে একজন প্রতারক, লোভী, স্বার্থপর লোক, বিভিন্নভাবে, সাধারণ মানুষসহ স্কুলেও দুর্নীতি করেছে, বর্তমানে এখন অবসরে আছে, তারপরও সে তার স্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারি কর্মকর্তা এমপি মন্ত্রী আছে বলে আমাকে এবং কমিটির লোকদেরকে ভয় ভীতি , হয়রানি করে আসছে।
এ ব্যাপারে ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এবং অত্র অভিযোগের ১নং আসামী মো. শাহাজ উদ্দিন সাজু’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, “ওই দিন আমি আদালতে মামলার খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। তবে আঃ রাজ্জাকের উপর হামলার ঘটনা তিনি জানেন না।”
শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বছির আহমেদ বাদল জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply