দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি :
গত ২০ জুন বৃহস্পতিবার রাতে দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভা ডাকাকে দু’গ্রুপের মধ্যে দলীয় কার্যালয়ে বাক-বিতন্ডা থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আনিছ (২৭) সহ দু’জন আহত হয়েছে। এ সংক্রান্তে ঐ দিন রাতেই থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান সজল (৩০) কে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, ঘটনার দিন আওয়ামীলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী প্রস্তুতি সভা দলীয় কার্যালয়ে আহ্বান করা হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান খান সেলিম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আনিছ ও অন্যান্য নেতাকর্মী সহ দলীয় কার্যালয়ে যান। সভা শুরুতেই সভা আহ্বান করাকে কেন্দ্র করে সভাপতির সাথে প্রতিপক্ষের সাথে বাক-বিতন্ডার থেকে উত্তেজনা ও মারামারির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ঘাটমাগুরা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আনিছ আহত হয়। এ সময় অপর আওয়ামীলীগ নেতা বেলভুজা গ্রামের আলতাফ আলী ফকিরের ছেলে ইউনুস আলী (৩০) প্রহৃত হয়। আহতদেক দ্রুত দুপচাঁচিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম আনিছকে রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। দলীয় কার্যালয় নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নেন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। এ সংক্রান্তে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম আনিছের মা রানুফা বেগম বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১৪ জন নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ রাতেই মামলার এজেহার ভুক্ত আসামী ছাতিয়াগাড়ী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সজল (৩০) কে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনজার্চ (ওসি) মিজানুর রহমান মামলা গ্রহনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান সজলকে শুক্রবার বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply