নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের সেই আমবাগানে বাসা বাঁধা পাখি শামুকখোলের জন্য বছরে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ চেয়েছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিল, সে অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি কর্মকর্তারা বাগানটিতে সার্ভে করে এ হিসাব বের করেছেন। সেটি প্রতিবেদন আকারে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আশা করি, দ্রুত বরাদ্দ অনুমোদন হবে। যা ওই বাগান মালিককে দিয়ে আমরা পাখিদের নিরাপদ আবাস গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।”
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, “হাইকোর্টের আদেশ এবং জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা গ্রামের আমবাগানটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। সেখানে মোট ৩৮টি গাছে শামুকখোল পাখি বাসা বেঁধেছে। ওই গাছগুলোতে বছরে কী পরিমাণ আম ধরে এবং তা না হলে কেমন ক্ষতি হবে, তা নিরূপণের চেষ্টা করেছি।”
কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ আরও বলেন, “মালিক পক্ষ, ইজারাদার, স্থানীয় মানুষ, আম ব্যবসায়ীসহ সব পক্ষের হিসেব অনুযায়ী পাখির বাসা সেখানে থাকলে বছরে তিন লাখ ১৩ হাজার টাকা ক্ষতি হতে পারে। সে অনুযায়ী আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দেই। সেটি সোমবার (১১ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক যাচাই করে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। বরাদ্দের অনুমোদন পেলে তা বাগান মালিক ও ইজারাদারদের দেওয়া হবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply