বগুড়া সদর ঊপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ, বর ও কনে পক্ষের
২জনকে ও মুন্সি সহ ৩ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে জেল ও ৩ জনকে জরিমানা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বগুড়া সদরের বাতুরতলার তিব্বত মোড় এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বাল্য বিবাহের সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছে বগুড়ার নন্দীগ্রামের চাকলমা গ্রামের মুসা সরকারের পুত্র হাবিব সরকারের সাথে টাকুরাই এলাকার শফিউল আলমের মেয়ে সাদিয়া (১৫) সাথে বিবাহের আয়োজন করে। ঘটস্থলে নির্বাহী কর্মকর্তা পৌছে বাল্য বিবাহের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে কনের পিতা শফিউল আলম ও বরের বোন চাম্পা ও বাল্য বিবাহ পড়াতে আসা গাবতলী দূর্গাহাটা গ্রামের মোজাফ্ফর হোসেনের পুত্র মুন্সি রবিউল ইসলাম সহ তিন জনক বিনাশ্রমে ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয় এবং কনের মা হালিমা বেগমকে ১ হাজার টাকা, বর ও কনেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, আমার দায়িত্ব পালনকালে এ উপজেলায় কোন বাল্য বিবাহ দিতে দেওয়া হবে না। যারা বাল্যবিবাহের সাথে জড়িত থাকবে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে। বাল্য বিবাহ দেওয়ার পরও যতি সংবাদ পাওয়া যায়, তাহলে তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি প্রদান করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী পুলিশ ফাড়ীর দায়িত্ব প্রাপ্ত এস আই শহিদুল ইসলাম, ব্র্যাক প্রতিনিধি আহসান হাবিব সাবিলা আফরোজ সহ ফুলবাড়ী পুলিশ ফাড়ীর সদস্য বৃন্দ।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply