নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোরের বন্দর নগরী বেনাপোল পৌরসভার নন্দিত মেয়র আশারাফুল আলম লিটনই আধুনিক বেনাপোল গড়ার রুপকার বলে মনে করছেন সাংবাদিকদের নিয়ে মন্তব্য করে আলোড়ন সৃষ্টিকারী সেই শিশু ইমন।সদ্য নবম শ্রেনীতে উত্তীর্ন হওয়া প্রবীন সাংবাদিক পুত্র এম আহসানুর রহমান ইমন বেনাপোল উন্নয়নের বর্ননায় বলেন স্বাধীনতা পরবর্তী সময় হতে আজ পর্যন্ত পিতা-মাতা,আত্নীয়-স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ হতে নানা ইতিহাস জেনে আমার চোখে বেনাপোল ইউনিয়নে সরকারী ভাবে যত জনপ্রতিনিধি (চেয়ারম্যান)দ্বায়িত্ব পালন করেছেন তার মধ্যে মেয়র লিটনই আধুনিক বেনাপোল গড়ার একমাত্র কারিগর।ইমনের দেওয়া তথ্য মতে বেনাপোল উন্নয়নে মেয়র লিটনের কার্যকাল(২০১১- ১৮) এত অল্প সময়ে বেনাপোল কে তিনি নিয়ে গেছেন স্বপ্নের শিখরে।২০০৬ সালে বেনাপোল পৌরসভা স্থাপিত হয় যার ওয়ার্ড সংখ্যা ৯টি ও গ্রাম ১১ টি ।এটি ছিলো তৃতীয় শ্রেণীর পৌরসভা ২০১১ সালের ১৩ ই জানুয়ারি আশরাফুল আলম লিটন বেনাপোল পৌরসভার প্রথম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাত্র ৩ বছরের ব্যবধানে বেনাপোল পৌরসভাকে তৃতীয় শ্রেণীর পৌরসভা হতে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নিত করেন তিনি। নির্মাণ করেছেন সুদর্নীয় পৌর ভবন ও এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ বেনাপোল পৌর গেইট।বেনাপোল পৌর কমিউনিটি সেন্টার(বিয়ে বাড়ি)নির্মাণ, বাংলাদেশ-ভারত প্রবেশদ্বার গেট এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভ ও প্রতিকৃতি নির্মাণ,বৃহৎ ও সবচেয়ে সুন্দর ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ,দেশের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর বাস টার্মিনাল নির্মাণ, সুন্দর শহীদ মিনার নির্মাণ ও একুশে মঞ্চ নির্মাণ, বেনাপোল স্থল বন্দরে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ।১০ শয্যা বিষিষ্ট কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করেছেন।
এ ছাড়াও বেনাপোল পৌর শাহী মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তায়িত(নির্মাণাধীন)যেটি হবে শার্শা উপজেলার সবচেয়ে বড় এবং সুন্দর মসজিদ,বেনাপোল স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়িত (নির্মাণাধীন),মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়িত (নির্মাণাধীন),বেনাপোল পৌরসভায় ১০০% মানুষ বর্তমানে বিদ্যুত সেবার আওতায় আনা,পৌর এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করা।প্রতিটি সড়কেই ফ্ল্যাড লাইটের সুব্যবস্থা করা,বেনাপোল পৌরসভাকে বিশ্বের আধুনিক শহরে পরিণত করতে ফ্ল্যাড লাইটের পাশাপশি রঙিন বাতি লাগানো। বেনাপোল পৌরসভাকে খেলাধূলায় এগিয়ে নিয়ে যেতে আলহাজ্ব নূর ইসলাম ফুটবল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা।ঢাকা টু কলকাতা রেলপথের যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়িত করাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। ২০১১ সাল পর্যন্ত পৌর এলাকায় মাদকসেবীর সংখ্যা ছিলো শতকরা ৫০শতাংশ সেখানে আজ মাদকের বিনাশ করতে মেয়র মহোদয় এর একান্ত চেষ্ঠা ও প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতায় ১০ ভাগে নেমে এসেছে। মাদকের ছোবল মুক্ত হতে চলেছে বেনাপোল পৌরবাসী।শিক্ষার বিকাশ বৃদ্ধিতে বেনাপোল পৌরএলাকায় বর্তমান সাক্ষরতার হার ১০০শতাংশ।পৌরবাসীর চিকিৎসা সেবায় নিয়েছেন অকল্পনীয় উদ্দ্যেগ বেনাপোল পৌরসভায় ৬০ উর্ধ্বে প্রর্ত্যেকজন প্রবীণকে দেয়া হয় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা। ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলার মাধ্যমে মানসিক বিকাশ ঘটাতে স্পোর্টস কর্ণার নির্মাণ,নারী কর্ণার স্থাপন যেখানে বেনাপোল পৌরসভার দারিদ্র পরিবারের ২ হাজার ৭শ জন নারী বিনামূল্যে হাতের কাজ ও হস্তশিল্পের কাজ শিখছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এবং নতুন প্রজন্মকে আধুনিক রূপে গড়ে তুলতে বেনাপোল পৌরসভায় নির্মাণ করা হয়েছে আইটি কর্ণার যেখানে প্রতিদিনই বিনামূল্যে তথ্য প্রযুক্তি , ইন্টারনেট, আউটসোর্সিং,কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহন করে ৫শত এর অধিক শিক্ষার্থী।মুক্তিযোদ্ধাদের সকল প্রকার ট্যাক্স মওকূফ ও ভাতা,র সুব্যবস্থা করা।বর্তমানে বেনাপোল পৌরসভায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা , মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ব্যাবস্থা রয়েছে। এলাকার স্যানিটেশনের সুব্যবস্থা ও স্যানিটেশন নিয়ে নিয়মিত সচেতনতা কর্মসূচির মাধ্যমে বর্তমানে স্যানিটেশন ব্যবস্থায় শতভাগ সফল বেনাপোল পৌরসভা। ভিক্ষুকমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত পৌরসভা এখন বেনাপোল উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে বেনাপোল পৌরসভাকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ পৌরসভায় রুপান্তরীত করতে মেয়র লিটনের ভূমীকা অসীমউন্নয়ন,সততা
নিষ্ঠার সাথে কাজ করে নিজেও পয়েছে দেশ শ্রেষ্ঠ মেয়র হওয়ার খেতাব।তাই শিশু ইমনের কাছে মেয়র আশরাফুল আলম লিটন আইকন তার বক্তব্য দেশের সর্বত্র যদি আশরাফুল আলম লিটনের মত মেয়র থাকে তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ অচিরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে ওঠবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply