হাসান মাহমুদ,, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে শিক্ষার আলো ছড়াতে অনেকটা স্বপ্ন নিয়ে বাবার নামে স্কুল প্রতিষ্ঠান করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। ডিআইজির গ্রামের বাড়ি ভুঞাপুর পৌরসভার ঘাটান্দি গ্রামে নির্মিত এই স্কুলের নাম দেয়া হয় খন্দকার হায়দার আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫৯ জন।
জানা গেছে, ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের বাবা খন্দকার হায়দার আলী একজন কৃষক ছিলেন। তাঁর ৪ ছেলে ৩ মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে বড় ছেলে ডিআইজি ফারুক।
খন্দকার গোলাম ফারুক ১৯৭৯ সালে ভূঞাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ইব্রাহিম খাঁ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য ভর্তি হন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়ে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও সিদ্ধান্ত নেন বিসিএস দেওয়ার। পরে ১০ম বিসিএসে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হন ফারুক। কিন্তু পুলিশ ক্যাডারে চাকুরী না হওয়ায় প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেননি তিনি।
পরবর্তিতে ১৯৯১ সালে স্পেশাল সার্কুলারে তিনি পুলিশে যোগদান করেন। এরপর ১৯৯৩ সালে সহকারী পুলিশ সুপার এবং ১৯৯৯ সালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর ২০০৩ সালে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করেন। গত ২০১৬ সালে রংপুরে ডিআইজি ও বর্তমানে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক গ্রামের বাড়িতে তার বাবা নামে খন্দকার হায়দার আলী স্মৃতি কল্যাণ সংস্থা থেকে প্রতিবছর দরিদ্র কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করে আসছেন। সুবিধা বঞ্চিতদের শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে পৌরসভার ঘাটান্দিতে ৪৫ শতাংশ জমিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় আলহাজ খন্দকার হায়দার আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত করলেও ২০১৯ সালে বিদ্যালয়ে পাঠদানের অনুমতি পায়। এবছর জেএসসিতে ১৫জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল।
আলহাজ খন্দকার হায়দার আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক এবং প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম।
Leave a Reply