বুধবার (১১ই মার্চ) সকাল থেকেই অনশন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রশাসনিক ভবনসহ তালা যুক্ত সকল দপ্তরের তালা খুলে দেন বিভাগটির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন শিথিল করলেও প্রশাসনিক ভবনের সামনে যথারীতি অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে তারা।
গতকাল (১০ই মার্চ) হয়ে যাওয়া শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে নবনির্বাচিত দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকমন্ডলীর অনুরোধে এবং আশ্বাসে, মুজিব বর্ষকে সম্মান জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেন বিভাগটির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে আন্দোলনের মুখপাত্র কারিমুল হক জানান,”আসন্ন মুজিব বর্ষের কথা চিন্তা করে এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলীর আশ্বাসে আমরা আপাতত আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করলাম। কিন্তু আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচী চলিয়ে যাবো।” অনশনে এবং অবস্থান কর্মসূচিতে এই পর্যন্ত প্রায় ৪১ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন, যাদের অনেকেই গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে আরও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই বশেমুরবিপ্রবিতে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী বিভাগটিতে নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর নির্দেশনা দেয় ইউজিসি। তার পর থেকেই ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইউজিসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এবং ৫ই মার্চ রাত থেকে আমরণ অনশনে নামে শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply