জয়পুরহাটে অঘোষিত লকডাউন চলছে। প্রশাসন জেলার সব দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করেছে।সংক্রমণ এড়াতে সড়কে যান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এতে বিপাকে পড়ে গেছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষগুলো।
দিন দিন তাদের দুর্ভোগ ও সংকটের পাল্লা ভারী হচ্ছে।এমতাবস্থায় না খেয়েই দিন পার করছেন এমন ছিন্নমূলদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক জাহিদ হাসান পল্লব।মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে ছিন্নমূল মানুষগুলোর হাতে নিজ হাতে খাবার তুলে দিয়েছেন তিনি।
জয়পুরহাট পৌর শহরের স্টেশন এলাকার আকরাম হোসেন, রমজান আলী, রাজ্জাক মণ্ডল তারা সকলেই বলেন, আমাদের বাড়িঘর নেই।রাত হলেই স্টেশনে এসে ঘুমাই।কোন দিন খেতে পাই, আবার কোনও দিন পাই না।করোনাভাইরাসের কারণে এলাকায় কোনো কাজ নেই।কাজ না থাকায় না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে আমাদের।প্রতিদিন রাতে উনি আমাদের খাওয়াচ্ছেন।এতে আমরা ভাল আছি।আল্লাহ আর ভাল করবেন।
স্টেশন এলাকার জরিনা বেওয়া বলেন, গত কয়েকদিন হয় প্রায় প্রতিদিন আমাকে না খেয়ে থাকতে হয়।ক্ষুধার জ্বালা খুব কষ্টের।এখন জাহিদ আমাদের খাবার বিতরণ করলেন।সেই খাবার খেয়ে ভাল লাগছে।
জাহিদ হাসান পল্লব বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্য ছিন্নমূল মানুষগুলো না খেয়ে দিন পার করছেন।মানুষ হিসেবে আমাদের একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে।আমি সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ আয়োজন করেছি।এরা সুবিধাবঞ্চিত নয় বরং তারা আমাদের দৃষ্টিবঞ্চিত।সবাই একটু দৃষ্টি দিলেই তারা একটি সুন্দর জীবন পেতে পারেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অংশ হিসেবে আমি সেটাই চেষ্টা করছি।আমি আশা করি, আমার এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রাজা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ কৌশলে বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলায় কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগ কর্মীরা দেশের স্বার্থে কাজ করে চলছেন।জাহিদ হাসান পল্লবের মতো সমাজের বিত্তবানরা যদি অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়াতো, তবে কেউ অভুক্ত থাকতো না।
খাবার বিতরণের সময় জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাজিদ রাব্বি রাহাত, জেলা ছাত্রলীগের সহসভবাপতি ওয়াহিদুজ্জামান রকি, ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান এহসান উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply