আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে ইসরাফ হোসেনের মৃত্যু হয়। এদিকে অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগে রোগীর স্বজনদের অন্যদিকে ডাক্তারদের বিচারের দাবীতে হাসপাতাল চত্বরে বিভিন্ন প্রতিকৃয়া দেখায়।
ইমরাফের ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা জানান, আমার বড় ভাই ইসরাফ বিকেলে আমাদের নিজ গ্রামের মাঠে কাজ করছিলেন। কাজ করার সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাঠের অন্যান্য কৃষকদের সহযোগিতায় তাকে আলগা মনে করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসি। রোগীকে চিকিৎসা দেবার লক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রিয়াজুল আলমকে ডাকতে তার বাসভবনে যায়। এসময় তিনি রোগীকে দেখতে না এসে বাসভবনেই অবস্থান করেন। ইসরাফের নিকট এক আত্মীয় পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের সাবেক ফুটবলার মোঃ সেন্টু আলী ভোরের সকাল কে জানান রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতালের ডাক্তারদের অনুরোধ করা হলেও তা কর্ণপাত করেননি ডাক্তাররা।
ইসরাফের ছোট ছেলে মিকাইল হোসেন জানান, আমার বাবাকে হাসপাতালে নেয়ার পর দীর্ঘ সময় ধরে ডাক্তার চিকিৎসা দিতে রোগীর শরীরে স্পর্শ করেননি। পরে দীর্ঘ সময় ধরে অনুরোধ করার পর প্রেসার মাপার একটি অকেজো যন্ত্র নিয়ে আসে। তাতে কাজ না হলে,পূনরায় যন্ত্র খুঁজতে যায়। ততক্ষণ বাবা মারা গিয়েছেন। ডাক্তারদের অবহেলায় আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমি এই ধরনের ডাক্তারদের বিচার চাই।
গাংনী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র নবীরুদ্দীন বলেন, বিনা চিকিৎসায় একজন রোগী মারা যাওয়া এটা দুঃখজনক। এসব ডাক্তারদের অবিলম্বে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজনরা একটু উত্তেজিত হওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে পুলিশ গিয়ে তা শান্ত করেছে।
গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক বলেন, হাসপাতালে হট্টগোলের খবর শুনে ছুটে গিয়ে মারা যাওয়া রোগীর স্বজনদের শান্ত করি। তবে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ডাক্তারের অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে অবগত করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রিয়াজুল আলমের সাথে মোবাইলফোনের মাধ্যমে ভোরের সকাল যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে,তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply