মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,সারারাত কখনো গুড়িগুড়ি আবার কখনো ঝমঝম বৃষ্টি। কয়েকদিন ধরে রাত থেকেই মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। কর্মব্যস্ত দিনে হঠাৎ বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকল ৮ টার দিকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ২ টার পর কমে যায়। এরপর নগরবাসীর চলাচল স্বাভাবিক হলেও সড়কে জমে থাকা পানির কারণে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার পৌরশহরের মানুষকে। ১৫ জুন সোমবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, বিশেষ করে রানীশনকৈল কর্মসংস্থান ব্যাংক সংলগ্ন মহাসড়কে গর্ত হয়ে থাকা রাস্তায় হাঁটু পানি জমে রয়েছে। কয়েকদিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পানিতে পুরো পৌরএলাকা কাদা মাখামাখি। সে সময় এসব সড়কে চলাচলকারীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। একই চিত্র ছিল রানীশংকৈলের পুরো শহরের ছোট-বড় বিভিন্ন রাস্তায়। বিশেষ করে পৌরসভা গেট থেকে শুরু করে, রংপুরিয়া মার্কেটসহ কলেজগেট, মুক্তাচত্বর, বাদুড়ঝোলা শিমুল তলী, ডাবতলী, হাজী হরমুজ প্লাজা আর সামনের রাস্তার বেহাল দশা। উন্নয়ন কাজের কারণে এসব এলাকায় বেশি ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। মন্থরগতির উন্নয়ন কাজের কারণে জনদুর্ভোগ সহ্যের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু এসব দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে উন্নয়নকাজে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি জন্য পৌরশহরে অনেক দুর্ভোগ হয়। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বাজার এলাকার গৃহবধূ নার্গিস আক্তার বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে এলাকার সড়কগুলো কাদাপানিতে পিছলা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বাচ্চাদের স্কুলে আনা-নেওয়ায় সীমাহীন ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। সড়ক ও ড্রেনেজ সংস্কারে প্রতিবছরই উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। অথচ আমরা এর কোনো সুফল পাচ্ছি না। পৌরশহরের বাসিন্দা মাইক ব্যবসায়ী বক্কর বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই দোকানের সামনে পানি জমে যায়। আর একটু ভারি বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। এ সময় এখানে কোন কম্পানির মানুষ হয়ে পড়ে অসহায়। মানুষ বাধ্য হয়ে সড়কের পিচ্ছিল রাস্তায় চলাচল করে। আর তখনই ঘটে ছোট ছোট যানবাহন গুলি যাত্রীসহ উল্টে পড়ার মতো তাই দুর্ঘটনা। অটোরিকশাচালক হাসান আলী বলেন, পেটের দায়ে রাস্তায় অটো নিয়ে নেমেছি। আজ সকাল বেলায় দুজন রাতে নিয়ে রিকশাসহ পড়ে গিয়েছিলাম পানিতে। একেতো গুরি গুরি বৃষ্টি আবার কাদায় রাস্তায় চলাফেরা করা খুব কঠিন হয়ে গেছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply