শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

দুপচাঁচিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র বেলালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মামলার তথ্য ফাঁস

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৯৬৬ ভিউ টাইম

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে পৌরসভার কতিপয় কর্মচারীর ষড়যন্ত্রমুলক অর্থ আত্মসাৎ  মিথ্যা মামলার তথ্য ফাঁস হয়েছে।

দুপচাঁচিয়া পৌরসভার কয়েকজন কর্মচারি সাবেক মেয়র বেলাল হোসেন পৌরসভার নির্বাচনের একমাস পুর্বে তার বিরুদ্ধে পৌরসভার ৭১ জন কর্মকর্তা কর্মচারি ও পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষক ও স্টাফদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, আনুতোষিক ফান্ড ও কর্মচারিদের দেয়া লোনের কিস্তির ৩ কোটি ৬৭ হাজার ৭১৩ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনে।

নির্বাচনে তার ভাবমুর্তি বিনষ্ট করার জন্য এবং জনগণের মাঝে তার জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে এই অপপ্রচারে নামে। একই সাথে স্থানীয় প্রশাষন সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করে। এক পর্যায়ে কর নির্ধারক আব্দুল মজিদকে বাদী করে গত ১৫ মার্চ ২০২০ তারিখে বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অর্থ আত্মসাতের  মামলা ৫২সি/২০২০ দায়ের করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জাকির হোসেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কর্মচারীদের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করেন। তদন্তে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তিনি জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিবেদনও পাঠান। এদিকে পৌরসভার কর্মচারী আব্দুল মজিদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্তের পর সাবেক মেয়র বেলাল হোসেনের কোন টাকা আত্মসাত না হওয়ায় গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে উক্ত মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।

মামলা প্রত্যাহার করে ওই দিন আদালত থেকে বের হয়ে রাস্তায় এলে বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ভারাটিয়া সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা, মিথ্যা মামলার হুমকি সহ চাকুরীচ্যুত করার হুমকি দেয়। এ সংক্রান্তে আব্দুল মজিদ গত ১২ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে বগুড়ার স্থানীয় সরকার শাখার উপ-সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরীত গত ২ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে স্থানীয় সরকার পল্লী উনśয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবের নিকট স্মারক নং- দুপঃ/পৌরঃ/২০২০-২০২১/৯৮ পত্র পৌরসভার ২০১৯-২০ অর্থবছরের রাজস্ব আয় ৭ কোটি ৪০ লাখ ৯৭ হাজার ২১৬ টাকা থাকা সত্বেও

পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ভাতা বকেয়া রাখার বিষয়ে ব্যাখ্যা তলবে সাবেক মেয়র বেলাল হোসেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-কর্মচারীদের, মাষ্টাররোল কর্মচারীদের ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত বেতন ভাতা পি.এফ ও জি.এফ সহ সর্বমোট ৩ কোটি ৯৯ লাখ ২৯ হাজার ৬২৫ টাকা বকেয়া রেখেছে উল্লেখ করেছে। অর্থ আত্মসাতের  কোনো কিছুই উল্লেখ করে নাই।

এদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে কর্মচারী শাহজাহান আলী সাবেক মেয়র বেলাল হোসেন ও প্রধান হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে আবারো কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ শিক্ষকদের অর্থ আত্মসাতের  অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করে। একই ঘটনার প্রথম বাদী কর নির্ধারক আব্দুল মজিদের মামলা প্রত্যাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী, হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা পৃথক তদন্তে অর্থ আত্মসাতের  কোন প্রমাণ মিলে নাই।

বর্তমান মেয়রের সিনিয়র সচিবের নিকট প্রেরিত প্রতিবেদনেও অর্থ আত্মসাতের  কোনো কিছু উল্লেখ নেই। এর পরেও সাবেক মেয়র বেলালকে হয়রানী করতে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তার বিশ্বস্ত কর্মচারীদের দ্বারা এই ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এতে পৌরসভার কর্মচারী সহ পৌর এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সিনিয়র সচিবের নিকট প্রেরিত ওই প্রতিবেদনে বিভিন্ন ব্যয়ের অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। প্রতিবেদনে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে অনুদান ১৯ লাখ ১১ হাজার ৪৮১ টাকা, করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারি অফিস লকডাউনে থাকলেও অফিস আপ্যায়ন খরচ ৬ লাখ ৩২৮ টাকা, করনো ভাইরাস প্রতিরোধের নামে ১২ লাখ ৭০ হাজার ৬শ টাকা এবং করোনা ভাইরাসের কারনে সারা দেশে এবার জাতীয় দিবস স্বল্প পরিসরে পালন হলেও এক্ষেত্রে ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৬৯ টাকা, মাষ্টাররোল লেবার কর্মচারীদের বেতন ২৭ লাখ ৮১ হাজার ৮৭৬ টাকা, যানবাহন যন্ত্রাংশ ক্রয় মেরামত ২ লাখ ৯৬০ টাকা, জরুরী বিভাগের কাজের বিল ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৩ টাকা, লেবার মাষ্টাররোলে থাকা সত্বেও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার বাবদ পৃথক ভাবে ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৫০ টাকা, আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ ৩ লাখ ৬ হাজার ৫৯৭ টাকা সহ নলকুপ ক্রয় সর্বরাহ বাবদ ২ লাখ ২৫ হাজার ১৪৬ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।

এছাড়াও উক্ত প্রতিবেদনে ব্যয়ের খাতগুলো তদন্ত করলে ব্যাপক অর্থ তসরুপের তথ্য বেরীয়ে আসবে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে এলাকার সূধী মহল মনে করছে। উল্লেখ্য স্থানীয় সরকার বিভাগের এক আদেশে পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সাময়িক বরখাস্ত হন। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্ট বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত বিষয়ে স্থগিতাদেশ পান এবং এরপর সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার জজ আদালত উক্ত জাহাঙ্গীর আলমের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বহাল রাখেন।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888